|
|
|
|
থেকেও নেই তালিকা |
যথেচ্ছ রিকশা ভাড়ায় ক্ষোভ |
অভিজিৎ পাল • ইসলামপুর |
এক বছর আগে ইসলামপুর পুরসভার তরফে রিকশার নির্ধারিত ভাড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে তা বাস্তবে কতটা কার্যকরী হয়েছে তা নিয়ে নিত্যযাত্রীরা প্রশ্ন তুলেছেন। নিত্যযাত্রীদের অনেকেরই অভিযোগ, তালিকায় কী লেখা রয়েছে তার তোয়াক্কা না-করে যথেচ্ছ ভাড়া আদায় করতে সক্রিয় একশ্রেণির রিকসা চালক। এই ঘটনায় ইসলামপুর শহরবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শহরবাসীদের বক্তব্য, ভাড়া নিয়ে সওয়ারিদের সঙ্গে রিকশা চালকদের রোজই গোলমাল হচ্ছে। চাহিদা মতো ভাড়া দিতে রাজি না হলে রিকশা চালকরাও যেতেও রাজি হচ্ছেন না। ফলে বাসিন্দাদের যথেষ্ট দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মুজাফ্ফর হুসেনের দাবি, “পুরসভার তরফে রিকশা ভাড়ার তালিকা নির্ধারণ করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তার তালিকা টাঙানো হয়েছে।” তাঁর আশ্বাস, “পুলিশের সাহায্য নিয়ে রিকশার অনুতিপত্র খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ, বুধবার এই নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করা হবে।” শহরবাসীদের সুবিধার্থে শহরে সিটি অটোর চালু করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে বলে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে। ভাড়ার তালিকা নিয়ে পুরসভার তরফে ওই দাবি করা হলেও শহরবাসীদের বক্তব্য কিন্তু অন্যরকম। স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব দাস নামে এক স্কুল শিক্ষক বলেন,“ কোথায় ভাড়ার তালিকা টাঙানো হয়েছে? তাই যদি হয়ে থাকে আমরা কেন রিকশা চালকদের দ্বারা হয়রানির শিকার হব? তাদের দাবি মতো ভাড়া দিতে রাজি না হলে তারা যেতে রাজি হয় না। আমাদের চরম দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। পুরসভা রিকশা ভাড়া নিয়ে সঠিক পদক্ষেপ না নিলে আমরা শহরবাসীরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হব।” শহরবাসীদের অভিযোগের সহমত প্রকাশ করে ইসলামপুরের সিটু নেতা বিকাশ দাস অভিযোগ করেন, “কোনও সংগঠনকে না ডেকে নিজেদের খেয়ালখুশি রিকশা ভাড়ার তালিকা তৈরি করেছে পুরসভা। কিন্তু বাস্তবে তা কতটা সফল? পুরসভা তা নিয়ে একবারও খোঁজখবর রাখেনি। তাই সবাইকে সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “পুরসভার তৈরি ভাড়ার তালিকা নিয়ে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। সম দূরত্বে জায়গায় ১০ টাকা। আবার ২০ টাকাও করা হয়েছে। পুরসভার চূড়ান্ত গাফিলতির জন্যই শহরের বাসিন্দাদের সঙ্গে রিকশা চালকদের গোলমালের অন্যতম কারণ বলে তিনি মন্তব্য করেন। বলেন, বিষয়টি পুরসভাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। এই নিয়ে আমরাও সংগঠনগতভাবে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছি।” রিকশা চালকদের বক্তব্য, জিনিসপত্রের দাম উর্দ্ধমুখি হওয়ায় তারা বেশি ভাড়া নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তার উপর তাদের উল্টো অভিযোগ, পুরসভার অনুমতি নেই-এমন বহু রিকশা শহর জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পুরসভায় এই নিয়ে তারা বহুবার ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসলেও কোনও ফল মেলেনি তাদের অভিযোগ। |
|
|
|
|
|