|
|
|
|
ব্লক যুব উৎসবে পক্ষপাতিত্বের নালিশ, ভিত্তিহীন বলছে তৃণমূল |
রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় • হলদিবাড়ি |
বামেদের আমলে যেভাবে হত, তৃণমূলের আমলেও সেই একই কায়দায় সরকারি কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল হলদিবাড়িতে। আগামি ২ এবং ৫ তারিখে হলদিবাড়ি ব্লকে এবং ৪ তারিখে হলদিবাড়ি শহরে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রাজ্য সরকার আয়োজিত ছাত্র যুব উৎসবের কমিটিগুলিতে হলদিবাড়িতে তৃণমূল নেতাদের আহ্বায়ক করেই কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দলের কারা কারা ওই কমিটিতে ঠাঁই পাবেন, এলাকার তৃণমূল নেতারা তারও তালিকা তৈরি করে রাজ্য যুব কল্যাণ দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ। এমনকী, জায়গা মেলেনি জোট শরিক কংগ্রেসের নেতাদেরও। গত ১৮ নভেম্বর কোচবিহার জেলা যুব কল্যাণ দফতর থেকে জেলার ১২টি ব্লক ও ৬টি পুরসভায় ওই তালিকাও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় হলদিবাড়িতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তালিকা অনুসারে হলদিবাড়ি পুর এলাকায় এই উৎসব কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে তৃণমূলের ব্লক সম্পাদক কমল প্রধানকে। অন্যান্য সদস্যরা হলেন হলদিবাড়ি শহর তৃণমূল সভাপতি চন্দন রায়, ব্লক যুব তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি বিপ্লব সরকার এবং হলদিবাড়ি ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি পবিত্র রায়। এ ছাড়া পদাধিকার বলে ওই কমিটিতে রয়েছেনড় পুর চেয়ারম্যান কংগ্রেসের গৌরাঙ্গ নাগ এবং এগজিকিউটিভ অফিসার স্বপন ভট্টাচার্য। হলদিবাড়ি ব্লকের কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আবুয়াল সরকারকে। কমিটির অন্যান্য তিন সদস্য হলেন রঞ্জন রায়, তপন মিত্র এবং ইন্দ্রজিৎ রায়। তাঁরা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। পদাধিকার বলে পঞ্চায়েতে সমিতির অন্যান্য সদস্যরা আছেন। হলদিবাড়ি ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি তরুণ দত্ত বলেন, “যেভাবে কমিটি গঠন করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তা অন্যায্য এবং অনৈতিক কাজ। আমাদের পার্টির যুব এবং ছাত্র সংগঠনের কাউকে কমিটিতে নেওয়া হয়নি।” বামফ্রন্টের আমলেও বামপন্থী ছাত্র এবং যুব সংগঠনের সদস্যরা এই কমিটিতে প্রাধান্য পেতেন। উৎসব নিয়ন্ত্রন করতেন বামপন্থী পার্টির সদস্যরা। পাশাপাশি বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠনগুলিকেও নেওয়া হত। সভা করে কমিটি তৈরি করা হত। হলদিবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রাণেশ্বর মৈত্র বলেন, “এরকম অনৈতিক কাজ আমাদের আমলে ঘটেনি।” হলদিবাড়ি ব্লকের দায়িত্বে থাকা চ্যাংরাবান্ধা ব্লক ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ আধিকারিক বিকাশ দাস বলেন, “রাজ্য যুব কল্যাণ দফতর থেকে সরাসরি এই তালিকা প্রস্তুত করে জেলায় পাঠানো হয়েছিল। সেভাবেই তালিকা পেয়েছি।” হলদিবাড়ি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোপাল রায় অবশ্য কোনও পক্ষপাতিত্বের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন। গোপালবাবু বলেন, “সরকারি নীতি অনুযায়ী স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা এক বছর ধরে অনেক ভাল কাজ করতে পারবে। আমজনতার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই কমিটি গড়া হয়েছে।” |
|
|
|
|
|