|
|
|
|
কলেজে সংঘর্ষ, অস্ত্র-সহ গ্রেফতার বহিরাগত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
কলেজ গেটে ছাত্রদের সংঘর্ষের সময় এক বহিরাগতকে অস্ত্র-সহ ধরল পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম মুন্না বিশ্বাস। রায়গঞ্জের সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয়ের গেটে তাকে ধরা হয়। তার বাড়ি রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর এলাকায়।
ধৃত যুবক কোন সংগঠনের সমর্থক তা নিয়ে এসএফআই ও টিএমসিপি-এর মধ্যে ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে। এসএফআই ওই যুবককে তৃণমূলের বলে অভিযোগ করে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বাকিদের গ্রেফতারের দাবি জানায়। তৃণমূলের অভিযোগ, ধৃত ওই যুবক এসএফআই সমর্থক। হামলায় অভিযুক্ত বাকিদের গ্রেফতারের দাবিতে সন্ধ্যায় শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন টিএমসিপির সমর্থকেরা।
রায়গঞ্জের ডিএসপি (সদর) অম্লান ঘোষ বলেন, “ধৃত যুবক কলেজ পড়ুয়া নয়। সে কলেজ চত্বরে কার নির্দেশে, কী উদ্দেশ্যে গিয়েছিল তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
স্মারকলিপি জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) এবং এসএফআই সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয় চত্বর। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৯ জন জখম হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সায়ন চৌধুরী ও রতন সাহা নামে দুই টিএমসিপি সমর্থককে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
টিএমসিপির অভিযোগ, এ দিন কলেজের নানা উন্নয়নের দাবিতে অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি জমা দিতে যাওয়ার সময়ে এসএফআই সমর্থকেরা আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে টিএমসিপির সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এসএফআইয়ের পাল্টা অভিযোগ, টিএমসিপি বিনা অনুমতিতে বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছিল। সেই সময় প্রতিবাদ করায় টিএমসিপির সমর্থকেরা এসএফআই সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। সংঘর্ষে জখমদের মধ্যে রয়েছেন এসএফআই পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক মনোজিৎ পালগুপ্ত, সহকারী সাধারণ সম্পাদক কেতন ঘোষ, এসএফআইয়ের উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক প্রাণেশ সরকার ও জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম সরকার। |
|
|
|
|
|