|
|
|
|
ঝাড়খণ্ডেও হানা দিল জাপানি এনসেফ্যালাইটিস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
মশাবাহিত মারণ রোগ ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার দোসর হয়ে এ বার ঝাড়খণ্ডে ঢুকে পড়েছে জাপানি এনসেফ্যালাইটিস। সরকারি নথি অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। ওই সময়ের মধ্যে ৪৬ জনের রক্তে মিলেছে ওই রোগের জীবাণু।
রাজ্যের মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, জাপানি এলসেফ্যালাইটিসের সংক্রমণ বেশি ধরা পড়েছে পলামু, হাজারিবাগ এবং লাতেহার জেলায়। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া এমনকী কালাজ্বরের মতো মশাবাহিত রোগের দাপট থাকলেও, বছর দুয়েক আগেও ঝাড়খণ্ডে জাপানি এনসেফ্যালাইটিস রোগী পাওয়া যায়নি। গত বছরই প্রথম রাজ্যে এই রোগে আক্রান্ত ১৮ জন রোগীর খোঁজ মেলে। তার মধ্যে মারা গিয়েছেন দু জন।
জাপানি এনসেফ্যালাইটিস রোগের জীবাণুবাহক মশার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলাটাই এখন চিন্তার কারণ।
স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহক মশার বিরুদ্ধে কীটনাশক স্প্রে করে ফল পাওয়া যাচ্ছে। বছরের দু’ বার জামতাড়া বাদে রাজ্যের ২৩ টি জেলার সর্বত্র মশার ওষুধ স্প্রে করা হয়। কিন্তু জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের জীবাণুবাহক ‘অ্যানোফেলিস কিউলিসিফেসিস’ মশা কীটনাশকেও মরছে না। মশার বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার মশারি পেয়েছে রাজ্য। ইতিমধ্যে ১৩ টি জেলায় যে সব পরিবারকে মশারি দেওয়া হবে তাদের নামের তালিকাও তৈরি হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি মশারি বিলির কাজে হাত লাগানোর প্রক্রিয়া চলছে।
ঝাড়খণ্ডের ম্যালেরিয়া অফিসার প্রদীপ বাস্কে জানান, জামতাড়া জেলা ছাড়া রাজ্যের বাকি ২৩ টি জেলাই ম্যালেরিয়া প্রবণ। ওই রোগের সংক্রমণ ফি-বছরই কমবেশি লক্ষ করা যাচ্ছে ২৩ টি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। সরকারি খাতায় গত বছর রাজ্যে ম্যালেরিয়া মৃতের সংখ্যা ছিল ১৬ । আক্রান্ত এক লক্ষ ৯৯ হাজার ৮৪২ জন। এ ছাড়াও সাহেবগঞ্জ, পাকুড়, দুমকা, গোড্ডা জেলায় কালাজ্বরের প্রাদুর্ভাব বেশি। গত বছর সরকারি ভাবে কালাজ্বরে ৫ জনের মৃত্যর খবর মিলেছিল। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত কালাজ্বরে মারা গিয়েছে তিনজন। প্রসঙ্গত তিনি জানান, ডেঙ্গি এবং চিকুনগুনিয়ার মত মশাবাহিত রোগে প্রতি বছরই কিছু মানুষ আক্রান্ত হন। কিন্তু ২০১০ সাল থেকে ওই রোগে মৃত্যুর ঘটনা নেই। |
|
|
|
|
|