|
|
|
|
ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিকর্তা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
ভাঙা ‘লেবার টেবিলে’ শুয়ে আছেন প্রসূতি। বহির্বিভাগে ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘দালাল’রা। চরছে কুকুরও, বেড়ালও।
বুধবার ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে এই সব দেখে ক্ষোভ চেপে রাখতে পারলেন না রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা শ্যামাপদ বসাক। মহিলা ওয়ার্ড, শিশু ও মেডিসিন বিভাগ, ব্লাডব্যাঙ্ক পরিদর্শনের পর প্রসূতি বিভাগে গিয়ে দেখেন, এই ঠান্ডার মধ্যেই মেঝেয় সদ্যোজাতদের নিয়ে শুয়ে আছেন মায়েরা। অপরিষ্কার ওজন মাপার যন্ত্র নিজেই পরিষ্কার করেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। এরপর সদ্যোজাতদের ওজন মাপার ওই যন্ত্র যাতে নিয়মিত পরিষ্কার হয়, সে দিকে সুপারকে নজর রাখার নির্দেশ দেন তিনি। |
|
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে নিয়ে হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্য অধিকর্তা প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন চিকিৎসক-নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে। ভবন রং করানো, বাগান তৈরির জন্য হাজার-হাজার টাকা খরচ হলেও প্রয়োজনীয় ছোটখাটো যন্ত্রপাতি, লেবার টেবিল কেনা হচ্ছে না বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় কর্মীদের একাংশ। পরে শ্যামাপদ বসাক বলেন, “এই হাসপাতালে প্রচুর সমস্যা। পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নেই। কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবও রয়েছে।” হাসপাতালের নিজস্ব ফান্ড থেকে সিরিঞ্জ কেনার জন্য সুপারকে নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে দু’দিনের মধ্যে অন্তত দু’টি লেবার টেবিল ব্যবস্থা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। বলেন, “হাসপাতালের হাল দেখে আমি মোটেই খুশি নই। আরও নজরদারি বাড়ানো দরকার।”
আর পাঁচটা সরকারি হাসপাতালের মতো ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালেও প্রয়োজনীয় সংখ্যায় চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী নেই। অথচ, মহকুমা-সহ সংলগ্ন হুগলি জেলার একাংশের বাসিন্দা এই হাসপাতালের উপরে নির্ভরশীল। নেই প্যাথোলজিস্ট, পর্যাপ্ত সংখ্যক রেডিওলজিস্ট। ফলে হাসপাতালে আসা রোগীদের অধিকাংশ সময়েই বাইরে থেকেই পরীক্ষা, আলট্রা-সোনোগ্রাফি করাতে হয়। এমনকী ওষুধও কিনতে হয় বাইরে থেকে। চিকিৎসকের অভাবে প্রতি দিন বহির্বিভাগ খোলে না। নিও-নেটাল কেয়ার ইউনিট খোলা হলেও তা তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই সব নিয়ে ক্ষোভ ছিলই। এ দিন স্বাস্থ্যকর্তাকে সামনে পেয়ে শুধু রোগীর পরিজনেরাই নয়, হাসপাতালের কর্মীরাও ক্ষোভ উগরে দেন। |
|
|
|
|
|