|
|
|
|
শিশুমৃত্যুর তদন্ত মালদহ সদরে |
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হাসপাতাল পরিদর্শনে টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মালদহ সদর হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের শিশু মৃত্যু টাস্ক কমিটি ও সিক নিউ বর্ন বেবি কেয়ার কমিটি। বুধবার ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্সের তিন প্রতিনিধি এবং রেশমি কামালের নেতৃত্বে সিক নিউ বর্ন কেয়ার কমিটির দুজন প্রতিনিধি মালদহ সদর হাসপাতালে তদন্তে যান। শিশু মৃত্যু রুখতে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে মালদহ সদর হাসপাতালে ১২ বেডের সিক নিউ বর্ন বেবি কেয়ার ইউনিট খোলা হচ্ছে। মালদহ সদর হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর তদন্ত করতে এসে অপ্রতুল চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীকেই প্রাথমিক ভাবে দায়ী করছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের শিশু মৃত্যু টাস্ক ফোর্স কমিটির চেয়ারম্যান ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকাল ৯ টা থেকে বেলা একটা পর্যম্ত দুই কমিটির প্রতিনিধি দল মালদহ সদর হাসপাতাল ও মালদহ মেডিক্যাল কলেজের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগও ঘুরে দেখেন তাঁরা। শিশু মৃত্যু রুখতে দ্রুত সদর হাসপাতালে সিক নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিট খোলার নির্দেশ দিয়েছেন দুই কমিটির সদস্যরা। পরে শিশু মৃত্যু টাস্ক ফোর্স কমিটির চেয়ারম্যান ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যয় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মালদহ সদর হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে এসেছি। তবে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় পরিকাঠামো বিশ্লেষণ করা আমাদের এক্তিয়ারের বাইরে। শিশু ম়ৃত্যুতে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে এসেছি। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে মালদহ সদর হাসপাতালে শিশু মৃত্যুতে চিকিৎসদের কোনও গাফিলতি নেই। অপ্রতুল চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীর কারণেই শিশু মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালে যে সমস্ত শিশু মারা গিয়েছে তাদের বেশির ভাগই ছিল কম ওজনের শিশু।” জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ নভেম্বর মালদহ সদর হাসপাতালে শিশু মৃত্যু শুরু হয়। গত ২২ দিনে সদর হাসপাতালে ৫৫টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সদর হাসপাতালের সুপার হিমাদ্রি আড়ির বক্তব্য, তদন্ত কমিটিকে তাঁরা জানিয়েছেন, ৬০০ বেডের হাসপাতালে ১২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী, ৪৫ জন নার্স, ২০ জন চিকিৎসকের শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স চেয়ে বহুবার তাঁরা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যম্ত শূন্যপদে চিকিৎসক, নার্স না পাঠানোয় রোগীর ভিড় সামাল দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, “অপ্রতুল চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীর জন্য যে শিশু মৃত্যু হয়েছে তা তদন্তকারী কমিটির সদস্যরা সরজমিনে দেখে গিয়েছেন। ৩২ বেডের সিক নিউ বর্ন বেবি কেয়ার ইউনিটের কাজ চলছে। তবে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ১২ বেডের নিউ বর্ন বেবি কেয়ার ইউনিট খোলা হচ্ছে। বেবি কেয়ার ইউনিট খোলা হলে অসুস্থ শিশুর মৃত্যু কিছুটা কমবে।” |
|
|
|
|
|