|
|
|
|
প্রশ্নপত্র বিভ্রাট শিলিগুড়িতে, ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
প্রশ্নপত্র বিভ্রাটের জেরে আচমকা পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়ল শিলিগুড়ির হিন্দি ভারতী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। বুধবার ওই ঘটনার জেরে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। প্রধান শিক্ষকের ঘরে ঢুকে ভাঙচুরের পাশাপাশি তাঁকে হেনস্থাও করা হয় বলে অভিযোগ। প্রধাননগর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রধান শিক্ষক সুধীর চন্দ্র সিংহ বিষয়টি নিয়ে প্রধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, “টিচার্স কো অপারেটিভ বোর্ডের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিচ্ছিলাম আমরা। তারাই রুটিন তৈরি করেছে। অথচ আমরা যে প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিচ্ছিলাম, সেই একই প্রশ্নপত্রে পাশের একটি হিন্দি স্কুল একদিন আগে পরীক্ষা নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে বোর্ডকে অভিযোগ জানিয়ে পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়। নতুন প্রশ্নে পরীক্ষা ব্যবস্থা করা হয়। তার পরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়।” মঙ্গলবার পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধ ঘন্টার মধ্যে ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ করেন, যে পশ্নপত্রে পরীক্ষা হচ্ছে সেই প্রশ্নপত্রেই রাজেন্দ্রপ্রসাদ হিন্দি বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে পরীক্ষা বাতিল করে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষক বলেন, “এদিন নতুন প্রশ্নে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। বিক্ষোভে তা বাতিল হয়েছে।” কো-অপারেটিভ বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের দেওয়া রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল হিন্দি ভারতী উচ্চ বিদ্যালয়ের। সেই হিসেবে তাঁকে ‘সাধারণ’ প্রশ্নপত্র দেওয়ার কথা। শিলিগুড়ির রাজেন্দ্রপ্রসাদ বিদ্যালয় ওই বোর্ড থেকেই আলাদা প্রশ্নপত্র নিয়ে নিজেদের মতো রুটিন ঠিক করে নেন। বোর্ডের এক কর্তা বলেন, “কিন্তু যে কর্মী প্রশ্ন সরবরাহ করেছেন তাঁর ভুলেই ওই ঘটনা হয়েছে। তিনি হিন্দি ভারতী বিদ্যালয়কে সাধারণ প্রশ্নপত্র না দিয়ে রাজেন্দ্রপ্রসাদ বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র দেন। অভিযোগ পেয়ে নতুন প্রশ্নপত্র পাঠিয়েছি।” হিন্দি ভারতী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, এদিন তাঁরা নতুন প্রশ্নপত্র পেয়েছেন। ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বরের পরীক্ষা নতুন করে নেওয়া হবে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বলেন, “একটি পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পর পর তিনটি পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাওয়ায় মনোসংযোগে অনেকটাই সমস্যা হবে। বোর্ড এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা উচিত। যে কর্মীর জন্য এটা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” |
|
|
|
|
|