|
|
|
|
পতাকা পুঁতে জমি দখলে অভিযুক্ত বামকর্মীরা |
নারায়ণ দে • আলিপুরদুয়ার |
দলীয় পতাকা পুঁতে তৃণমূল সমর্থকের জমি দখলের অভিযোগ উঠল সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের চকোয়াখেতি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। জমি দখলের ওই ঘটনার জেরে এলাকায় চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। আতঙ্কে ভুগছেন তৃনমূল সমর্থকদের পরিবারের লোকজন। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপ জয়সোয়াল বলেন, “জমি দখল নিয়ে রাজনৈতিক বিবাদের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ব্লক ভুমিসংস্কার দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে।” বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় পাটকাঠি দিয়ে সদ্য তৈরি করা দুটি ঘর বিতর্কিত জমির উপরে। ঘরের দু’দিকে তিনটি উঁচু বাঁশের মাথায় পতপত করে উড়ছে সিপিমের দলীয় পতাকা। জমির মালিক মজিন্দ্র রায় বলেন, “মঙ্গলবার সকালে সিপিএমের নেতারা দলবল নিয়ে জোর করে জমি দখল করে। আমার কাছে জমির পাট্টার কাগজ আছে। কিন্তু ওঁরা মানতে চায়নি। বিষয়টি আলিপুরদুয়ার থানায় জানিয়েছি।” ঘটনার পর থেকে ওই চাষি পরিবারের লোকজনের আতঙ্কে দিন কাটছে। মজিন্দ্রবাবুর ছেলে সুবল রায় ভয়ে বাড়িতে থাকেন না। তিনি বলেন, “মঙ্গলবার সকাল থেকে সিপিএমের আতঙ্গে আছি। যে জমিতে বাড়ি করব বলে কিছুদিন আগে খুঁটি পুঁতেছিলাম সেটাই ওঁরা দখল করেছে। জানি না কী হবে!” |
|
নিজস্ব চিত্র। |
ওই ঘটনার জন্য মজিন্দ্রবাবু পুলিশের কাছে স্থানীয় সি পি এম পঞ্চায়েত মদন রায়, শ্যামলাল ওরাঁও সহ আট জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আলিপুরদুয়ার-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সম্পাদক দুলাল বর্মন বলেন, “মজিন্দ্রবাবু এবং তাঁর প্রয়াত দাদা ১৯৮০ সালে ৩০ ডেসিমেল জমির পাট্টা পায়। সম্প্রতি মজিন্দ্রবাবু সেখানে বাড়ি তৈরির জন্য খুঁটি পুঁতে পাটকাঠির বেড়া দেন। মঙ্গলবার সকালে সিপিএম সমর্থকরা পঞ্চায়েত সদস্য মদন রায়ের উপস্থিতিতে ওই জমি দখল করে।” সিপিএম নেতৃত্ব তৃণমূলের ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের পাল্টা দাবি ওই জমির মালিক শ্যামলাল ওরাঁও। তৃণমূল সমর্থকরা জোর করে তাঁর জমি দখলের চেষ্টা করেছে। শ্যামলাল ওরাঁও বলেন, “তৃণমূল সমর্থক মজিন্দ্র রায় দলের লোকজন নিয়ে আমার জমি গ্রাস করার চেষ্টা করে। বিষয়টি সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্য মদন রায়কে জানাই। তিনি দলের কর্মী ও সমর্থকদের দিয়ে দলীয় পতাকা উড়িয়ে জমি উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন।” যদিও মদনবাবু বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। তবে ওই সময় এলাকায় ছিলাম না।” চকোয়াখেতি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান ধীরাজ সরকার বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঝামেলার কথা শুনেছি। তবে দলীয় পতাকা নিয়ে কে জমি দখল করেছে সেটা জানি না। আমি খবর পেয়েছি যে জমি নিয়ে ঝামেলা হয়েছে সেখানে শ্যামলাল ওরাঁও নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘ দিন থেকে চাষ আবাদ করত। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।” এ দিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা জানান, মঙ্গলবার রাতেও সিপিএমের সমর্থকরা এলাকায় টহল দিয়েছে। |
|
|
|
|
|