সংখ্যালঘু উন্নয়নের প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি নস্যাৎ করে দিলেন তৃণমূলের জোটসঙ্গী কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে সংখ্যালঘুদের নিয়ে দলের প্রকাশ্য সমাবেশে প্রদীপবাবু বলেন, “এই সরকার বলছে সংখ্যালঘুদের ৯০ শতাংশ উন্নতি করেছে। আদৌ তা হয়েছে কিনা, আমি জানি না।” তাঁর দাবি, “চাকরি, শিক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের কোনও উন্নয়নই চোখে পড়েনি।”
গত ৩১ অগস্ট ঈদের দিন রেড রোডে নমাজের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই ইমাম কারি ফজলুর রহমান বলেছিলেন, “পাহাড়, জঙ্গলমহল বা সিঙ্গুর সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী যতটা তৎপর, মুসলিমদের সমস্যা সমাধানে তাঁকে ততটা তৎপর দেখা যাচ্ছে না।” পরের দিনই বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে সংখ্যালঘু দফতরের ব্যয় বরাদ্দের জবাবি ভাষণে মমতা বলেন, “সংখ্যালঘুদের জন্য যা যা করব বলেছিলাম, তার ৯০ শতাংশই করা হয়ে গিয়েছে।” |
মমতার সেই দাবি নিয়েই বুধবার প্রশ্ন তোলেন প্রদীপবাবু। তিনি বলেন, “কংগ্রেস এই সরকারে থাকলেও এ বার সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন নিয়ে জোটসঙ্গীর সঙ্গে লড়াই করবে। আশাপ্রদ উন্নয়ন না হলে কংগ্রেস অন্য পথে হাঁটতে বাধ্য হবে। কংগ্রেস জানে, কোন পথে কী ভাবে হাঁটতে হয়।” জেলা কংগ্রেসের নেতাদের প্রতিটি ব্লকে দলের সংখ্যালঘু সভাপতি মনোনীত করার নির্দেশ দিয়ে প্রদীপবাবু ঘোষণা করেন, ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে প্রতিটি ব্লক অফিসে ৬ মাসে কী উন্নয়ন হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য স্মারকলিপি দেওয়া হবে। সমাবেশে এআইসিসি-র সংখ্যালঘু উন্নয়ন সেলের চেয়ারম্যান ইমরান কিদোয়াই বলেন, “ওরা যেমন নানা দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টি করছে, আমরাও তেমনই সংখ্যালঘু উন্নয়ন নিয়ে কোনও আপোস করব না। এই সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টি করে তা আদায় করব। যদি না হয়, তা হলে প্রদেশ কংগ্রেস তাদের মতো করেই সিদ্ধান্ত নেবে।” তাঁর দাবি, “সাচার কমিটির ৮০ শতাংশ সুপারিশ বাস্তবায়িত করার কাজ শুরু হয়েছে।” |