হিংসার কোনও ‘ভাল-মন্দ’ ভাগ হয় না বলে সওয়াল করলেন পিডিএস নেতা সৈফুদ্দিন চৌধুরী। তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল এবং সিপিএম হিংসার বিরুদ্ধে ‘দৃঢ় নীতিগত’ অবস্থান না-নিয়ে বরং ‘অনৈতিক’ ভাবে হিংস্র শক্তির সাহায্য নেওয়ায় মাওবাদী সমস্যা মেটানো যাচ্ছে না। মাওবাদী মোকাবিলায় সরকারি তরফে পাল্টা ‘হিংসা’ এবং বিশিষ্ট জনেদের ভূমিকা দুইয়েরই কড়া সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ। দিল্লিতে চিকিৎসাধীন সৈফুদ্দিন তাঁর দলের একটি মুখপত্রে যা লিখেছেন, সাম্প্রতিক কিষেণজি-বিতর্কের প্রেক্ষিতে তা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের ব্যাখ্যা। সৈফুদ্দিন লিখেছেন, ‘মাওবাদী নামে কিছু ব্যক্তি সব চেয়ে জঘন্য কাজগুলো করলেও আইনের শাসন যাঁরা পরিচালনা করছেন, তাঁদের নিয়ম-কানুনের মধ্যেই চলা দরকার। গদ্দাফি বা সাদ্দাম হুসেনকে যে ভাবে খুন করা হয়েছে, সে রকম আচরণ পুলিশ বা যৌথ বাহিনী মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কখনওই করতে পারে না’। পিডিএসের রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, ‘কিছু ব্যক্তি, বিশিষ্ট জন ও মানবাধিকার নামের সংগঠন মাওবাদীদের দ্বারা মানুষ খুনের বিরুদ্ধে কথাই বলছেন না। কিন্তু সরকার এই খুনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করলে এঁরা সমালোচনা করছেন’।
|
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ক্লিয়ারিং ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় বুধবার, নভেম্বরের শেষ দিনেও বেতন পাননি রাজ্য সরকারি কর্মচারীর একাংশ। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, “দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য এ দিন রডন স্ট্রিটের ওই বিভাগ বন্ধ ছিল। ফলে, মহাকরণ-সহ কলকাতার বিভিন্ন অফিসের বহু কর্মী বেতন পাননি। অফিসারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। বৃহস্পতিবারেই তাঁরা বকেয়া ক্লিয়ারিংগুলি করে ফেলার আশ্বাস দিয়েছেন।” অর্থমন্ত্রী বলেন, জেলায় বেতন হয়েছে। আশা করি বৃহস্পতিবার বাকিরা পেয়ে যাবেন। সরকার যথাসময়েই টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিল ব্যাঙ্কে। |