শিক্ষক খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল। মঙ্গলবার রাতে বাঘমুণ্ডি থানা এলাকারই বারাংবুরু গ্রেম থেকে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার সুনীলকুমার চৌধুরী বলেন, “ধৃতদের নাম শৈলেন্দ্র মাহাতো ও শোভরাজ মাহাতো। দু’জনেরই বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন থানায় অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, আরও একজন এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে। তার খোঁজ করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার বাঘমুণ্ডি থানার সেরেংডি গ্রাম থেকে মোটরবাইকে চড়ে গাগি গ্রামে বাড়ি ফেরার পথে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক তারাচাঁদ সিংহবাবু গুলিবিদ্ধ হন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই থানার সস গ্রামের বাসিন্দা হিরালাল কুইরি নামের এক যুবককে শনিবার রাতে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে জেরা করেই বাকি দু’জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। তাদের মধ্যে শৈলেন্দ্রর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের তামাড় এলাকায়। শোভরাজের বাড়ির চৌকা থানা এলাকায়। শোভরাজের কাছ থেকে একটি পাইপগান, একটি গুলি ও ওই শিক্ষকের মোটরবাইক-সহ তিনটি মোটরবাইক পুলিশ উদ্ধার করেছে।
পুলিশের দাবি, জেরার মুখে হিরালাল জানিয়েছে ঘটনার দিন সেরেংডি গ্রামের মদের ঠেকে শিক্ষকের সঙ্গে তার বচসা হয়। এর পরে হিরালাল ফোন করে শৈলেন্দ্র, শোভরাজ এবং আরও এক জনকে ডাকে। এরপরে তারা চার জনে তারাচাঁদবাবুকে ধাওয়া করে। পুলিশের দাবি, হিরালাল জেরায় কবুল করেছে, সে-ই ওই শিক্ষককে গুলি করেছিল। বুধবার ধৃতদের পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন। |