দু’টি পথ দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার বসিরহাট মহকুমায় মৃত্যু হল দু’জনের। সন্ধ্যায় একটি দুর্ঘটনা ঘটে বাদুড়িয়ার হুগলির ব্রুজমোড়ে তেঁতুলিয়া-মছলন্দপুর সড়কে। সাইকেলে বাড়ি ফেরার সময়ে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বাদুড়িয়ার নারকেলবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল লস্কর ওরফে বাপির (২৩)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরূপনগরের তেঁতুলিয়ার শহিদ নুরুল ইসলাম কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রেজাউল। তাঁর বাবা নুর ইসলাম লস্কর স্থানীয় কংগ্রেস নেতা। মা মনোয়ারা বিবি রামচন্দ্রপুর উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ কেওটশা গ্রাম থেকে ওই সড়ক ধরে ফিরছিলেন রেজাউল। পিছন থেকে একটি লরি তাঁকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় রেজাউলকে প্রথমে রুদ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানোর পথে তাঁর মৃত্যু হয়। লরিটি আটক করেছে পুলিশ। চালক পলাতক।
অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটে রাতে, স্বরূপনগরের স্বরূপদহ গ্রামের কাছে। বাস থেকে নামার সময়ে পিছনের চাকায় পিষ্ট হন ওই গ্রামেরই মোজেম সানা (১৬)। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই সে মারা যায়। বাস চালককে গ্রেফতার এবং মৃতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রায় ১০ ঘণ্টা স্বরূপদহে ওই রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন স্থানীয় লোকজন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় কাঠের মিস্ত্রি ওই কিশোর মঙ্গলবার হঠাৎগঞ্জে কাজে গিয়েছিলেন। রাত ৮টা নাগাদ ফিরছিলেন। বাড়ির কাছেই হাকিমপুর-স্বরূপনগর রোডে বাসটি দাঁড়ায়। সামনের দরজা দিয়ে মোজেমের আগে তিন জন নেমে যান। মোজেম নামার সময়ে কোনও ভাবে পড়ে যান। বাসটির পিছনের চাকা তার উপর দিয়ে চলে যায়। মৃতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, বাসটি নির্দিষ্ট জায়গায় বেশি ক্ষণ দাঁড়ায়নি। দ্রুত চলতে শুরু করে। কারও ধাক্কায় পড়ে গিয়ে মোজেমের ওই ভাবে মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, বাস চালক পলাতক। তাঁর খোঁজ চলছে। দু’টি দেহই ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। |