অরাঙ্গাবাদ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
ভাঙনের ভয়ে হুড়োহুড়ি, জখম ৬
ভাঙন প্রবণ এলাকাতে স্কুল বাড়ি ধসে পড়ার আশঙ্কায় আচমকা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল অরঙ্গাবাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। বাইরে একটা শব্দ হতেই ভাঙন শুরু হয়েছে ভেবে স্কুলের ছাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ২০ জন আহত হয়েছে। তার মধ্যে ৬ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে। বুধবার দুপুরে এর পরে স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। এই দিন স্কুলে পরীক্ষা চলছিল, তা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেচ দফতরের ভাঙন প্রতিরোধ বিভাগের সহকারী বাস্তুকার জ্যোতির্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্কুলটি এখনই ভেঙে পড়ে যাবে, এমন কোনও অবস্থা এখন আর নেই।”
বর্ষায় গঙ্গা এসে দাঁড়িয়েছিল স্কুলের শিয়রে।
কিন্তু তা সত্ত্বেও এই দিন কেন এমন আতঙ্ক ছড়াল, তার উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিডিও সুকুমার বৈদ্য বলেন, “এ বছর প্রায় মাস ছ’য়েক ধরে এই এলাকায় ভাঙন হয়েছে। স্কুলটিও খুব বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। তারপরে সেচ দফতর ভাঙন প্রতিরোধ করেছে। কিন্তু এলাকার মানুষের মনে সেই আতঙ্কটা রয়েই গিয়েছে। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওই স্কুল ভবনে আর কোনও ক্লাস করানো হবে না।”
পাড় বেঁধে স্কুল এখন সে বিপদ এড়িয়েছে। তবু আতঙ্ক। আহত এক ছাত্রী।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শুভ্রা সিংহ বলেন, “স্কুলের অনেক ছাত্রীর বাড়ি গঙ্গার তীরেই। তারা ভাঙনের আশঙ্কায় দিন কাটায়। তার উপরে স্কুলটিও মাত্র দু’মাস আগেও এক রকম জলের উপর ঝুলছিল। সে সবেরই রেশ পড়েছে আজকের ঘটনায়।” তিনি বলেন, “ঠিক কী আওয়াজ হয়েছিল, তাও আমরা জানি না। কেন আওয়াজ হয়েছিল, তা-ও আমরা বুঝতে পারিনি। ছাত্রীরাই বলছিল একটা শব্দ শুনেছে। দু’মাস আগে স্কুলের পরিবেশ দেখে ছাত্রীদের পাশেই অরঙ্গাবাদ বয়েজ হাইস্কুলে ক্লাস করানো হচ্ছিল। কিন্তু বার্ষিক পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীদের স্কুল ভবনেই ফেরত আনা হয়। তখনই এই আতঙ্ক তৈরি হয়।” আহতদের মধ্যে হেনা খাতুন, আখিরা খাতুন, সুস্মিতা দাস, রোকেয়া খাতুন, আফসানা খাতুন ও রোজিনা খাতুনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেচ দফতরের জ্যোতিমর্য়বাবু বলেন, “আমরা স্কুলের সামনে ভাঙন প্রতিরোধর কাজ করেছি। আপাতত স্কুলটিকে বাঁচানো গিয়েছে। তবে ভাঙনের সমস্যা রয়েছে।” তাঁর কথায়, “এক সময় স্কুলটি খুবই বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। জল কমার পরে আমরা ভাঙন রোধ করেছি নানা প্রক্রিয়ায়। কিন্তু ভবনটি বাঁচাতে আরও কাজ করা দরকার।” সম্প্রতি গত ২৫ নভেম্বর পাশের একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই স্কুলটিতেও আসেন। সেখানে তিনি জানিয়ে গিয়েছেন, অরঙ্গাবাদ বালিকা বিদ্যালয়কে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। রাজ্য সরকার সেই ব্যাপারে ব্যবস্থাও নিচ্ছে। জঙ্গিপুরের এসডিও এনাউর রহমান বলেন, “ওই স্কুলে ক্লাস করতে আগেই বারন করেছি। যত দিন না গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ দফতরের ছাড়পত্র মিলছে তত দিন ওখানে ক্লাস করা যাবে না। তবে এখনই বিপদের সম্ভবনা নেই। আজ কেবল গুজব থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে।”
ছবিগুলি তুলেছেন অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.