‘সমবায়িকা’ অর্থাৎ ‘মুর্শিদাবাদ হোলসেল কনজিউমারস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’-এর জন্মলগ্ন থেকেই তাঁরা বহরমপুরের ওই সংস্থার সরবরাহ করা রান্নার জ্বালানি গ্যাসের ক্রেতা। প্রায় দু’ দশক ধরে ওই সংস্থা থেকে তাঁদের বাড়িতে ‘ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন’ (আই ও সি)-এর গ্যাস সরাবরাহ করা হয়। ফলে ওই ক্রেতারা এত দিন গ্যাস ‘বুকিং’ করতেন বহরমপুর শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ‘সমবায়িকা’র কার্যালয়ে।
এ রকম শতাধিক ক্রেতা মঙ্গলবার সমবায়িকায় গ্যাস ‘বুকিং’ করতে গিয়ে শোনেন যে, তাঁরা আর সমবায়িকার ক্রেতা নন। এখন থেকে তাঁরা কাশিমবাজার এলাকায় আইওসি-র নব নিযুক্ত ‘ডিস্ট্রিবিউটর’-এর ক্রেতা। ফলে তাঁদের এখন থেকে গ্যাস ‘বুকিং’ করতে হবে শহরের শেষ প্রান্তে, বাড়ি থেকে ১০-১২ কিলোমিটার দূরে কাশিমবাজার এলাকায় পাতালেশ্বর মন্দির লাগোয়া আইওসি-র নতুন ‘ডিস্ট্রিবিউটর’-এর কার্যালয়ে। এমন ক্রেতার মোট সংখ্যা ৭ হাজার। খবর শুনেই এ দিন কয়েকশো ক্রেতা সমবায়িকার পরিচালন সমিতির কর্তাদের ঘেরাও করেন। তাঁরা ঘণ্টা চারেক ঘেরাও হয়ে থাকেন। আপাতত শনিবার পর্যন্ত সমবায়িকার কার্যালয় থেকে তাঁদের গ্যাস ‘বুকিং’ করার প্রতিশ্রুতি মিললে ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়। সমবায়িকার পরিচালন সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদের বলেন, “সমবায়িকার গ্যাসের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার। ১৫ হাজারের বেশি গ্রাহক হলে নতুন ডিস্ট্রিবিউটার করা হয়। এই যুক্তিতে গত মার্চ মাসে নতুন ‘ডিস্ট্রিবিউটর’ করা হয়। আই ও সি ৩০ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৭ হাজারকে কাশিমবাজারের ওই ‘ডিস্ট্রিবিউটর’-এর গ্রাহক তালিকায় ঢুকিয়ে দেন। ফলে কমিশন বাবদ সমবায়িকার মাসে লাখখানেক টাকার ক্ষতি হবে।” এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও আইওসি-র কর্তাদের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। |