|
|
|
|
মাওবাদী বন্দির পড়ার দায়িত্ব নিল সিআরপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মাওবাদীদের ‘সাব-জোনাল কম্যান্ডার’ সন্দেহে গত ১১ নভেম্বর শালবনি থেকে ধৃত সুমন মাইতি ওরফে সঁওতার পড়াশোনার দায়িত্ব নিল সিআরপিএফ। বুধবার মেদিনীপুরে এসে জেলা পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন সুমনের বাবা ঘনশ্যামবাবু ও দাদা প্রশান্ত। তাঁরা জানান, সুমনকে ভুল বুঝিয়ে মাওবাদীরা ভুল পথে নিয়ে গিয়েছিল। সুমন ভুল বুঝতে পেরেছে। সে সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চায়। সব শুনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তারা জানান, আপাতত জেলবন্দি হলেও সুমন যাতে পড়াশোনা করতে পারে, সে জন্য সব রকম সাহায্য করা হবে। |
|
সুমন মাইতির বাবা ঘনশ্যাম মাইতির সঙ্গে সিআরপি কমান্ড্যান্ট। নিজস্ব চিত্র। |
সিআরপিএফের ৫০ নম্বর ব্যাটালিয়নের কম্যাডেন্ট শঙ্করলাল সেনগুপ্ত বলেন, “সুমনের বাবা ও দাদার সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা ওকে পড়াশোনার জন্য বই দিয়েছি। পড়াশোনার সমস্ত খরচও দেব।” পাশাপাশি তাঁর আশ্বাস, “ওর দাদা যাতে সিআরপিএফে চাকরির জন্য ভাল ভাবে প্রশিক্ষণ নিতে পারে, তার বন্দোবস্তও করা হবে।” বছর কুড়ির সুমনকে গ্রেফতারের সময়ে তাঁর হেফাজত থেকে শিলদা ইএফআর শিবিরের লুঠ হওয়া ১টি একে-৪৭, ৩টি ইনসাস, ১টি কার্বাইন-সহ প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র-বিস্ফোরকও পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। পশ্চিম মেদিনীপুরের মেটালা জঙ্গল-লাগোয়া পায়রাচালি, মেটালা, বাগঘোরা ও মথুরাপুরে তল্লাশি চালিয়ে এই সব অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছিল যৌথ বাহিনী। সুমনের বাড়ি আদতে জামবনির জামদায়। পুলিশি সন্ত্রাস-বিরোধী জনগণের কমিটির আন্দোলনে সামিল হয়ে পরে এই যুবক মাওবাদী নেতা বিকাশের ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন বলে দাবি পুলিশের। বিকাশই তাঁকে লালগড়ের একাংশ ও শালবনির দায়িত্ব দেন। গ্রেফতারের পরে প্রথমে কয়েক দিন পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। আপাতত জেলবন্দি। মুড়াবনি হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালীনই জনগণের কমিটি, মাওবাদীদের ঘনিষ্ঠ হন। |
|
|
|
|
|