|
|
|
|
ঠাকুরনগর নন্দা মহিলা বিদ্যাপীঠ |
জীর্ণ হস্টেলে ঝুঁকির জীবন ছাত্রীদের |
সুব্রত গুহ • খেজুরি |
যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে ছাদ, প্রতিনিয়ত খসে পরছে দেওয়ালের পলেস্তরা, জীর্ণ দরজা-জানলার পাল্লা, খুলে পড়ছে জানলার শিকএমনই দশা তফসিলি ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির ঠাকুরনগর নন্দা মহিলা বিদ্যাপীঠের হস্টেলের। এরই মধ্যে পাঁচটি ঘরে গাদাগাদি করে থাকে ৭৫ জন ছাত্রী। বাকি ৭টি ঘরের অবস্থা আরও খারাপ। হস্টেল সংস্কারের জন্য বিভিন্ন মহলে আবেদন জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সুরাহা হয়নি। সম্প্রতি জেলা পরিষদ সরেজামিন খতিয়ে দেখে হস্টেল সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দের আশ্বাস দিয়েছে। যদিও শেষমেশ কাজ কতটা হবে তা নিয়ে সংশয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এলাকায় মহিলাদের শিক্ষার প্রসারের উদ্দেশ্যে ১৯৪৮ সালে ঠাকুরনগর নন্দা বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠা। জন্মলগ্ন থেকেই হস্টেল ছিল। তবে রাজ্য সরকার তফসিলি ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত এই হস্টেলের অনুমোদন দেয় ১৯৮০ সালে। হস্টেলে এখন ৬১ তফসিলি ছাত্রী-সহ ৭৫ জন আবাসিক। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তথা হস্টেলের সুপার ভাস্বতী শৌণ্ড জানান, সংস্কারের অভাবে ভেঙে পড়ছে হস্টেল ভবন। সব সময়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকে আবাসিকেরা, এই বুঝি ছাদ ভেঙে পড়ল। হস্টেল ও স্কুলের কোনও সীমানা প্রাচীর নেই। ফলে রাতে নিরাপত্তাহীনতার ভোগে ছাত্রীরা। |
|
ভগ্নপ্রায় হস্টেল। নিজস্ব চিত্র। |
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শুচিস্মিতা দাস (চৌধুরী) জানান, ভগ্ন হস্টেলটি নতুন করে নির্মাণের জন্য খেজুরির বিধায়ক, ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক থেকে উচ্চমহলে বারবার আবেদন জানানো হয়েছে। লাভ হয়নি। অবশেষে গত সোমবার জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন নিজে এসে হস্টেলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। মামুদ হোসেন বলেন, “ঠাকুরনগর নন্দা মহিলা বিদ্যাপীঠের হস্টেল ভবনের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের জেলা আধিকারিক ও জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি।” জেলার প্রাক্তন সভাধিপতি তথা খেজুরির বতর্মান বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল বলেন, “বাস্তবিকই নন্দা বিদ্যাপীঠের হস্টেলের ভগ্নপ্রায় দশা। প্রধানশিক্ষিকাকে বলেছি নতুন ভবনের জন্য পরিকল্পনা করে জেলা পশ্চাদ্পদ বা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরে জমা দিতে। অর্থ বরাদ্দের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” প্রধানশিক্ষিকা শুচিস্মিতাদেবী অবশ্য জানিয়েছেন, স্কুলের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে চল্লিশ-পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ করে প্ল্যান-এস্টিমেট বানানোর মতো সামর্থ্য নেই।
নতুন ভবন কবে হবে জানা নেই। আপাতত আতঙ্ক আর নিরাপত্তাহীনতাই সঙ্গী ৭৫ কিশোরীর। |
|
|
|
|
|