|
|
|
|
কেশপুরে পঞ্চায়েতের কাজ শুরুর উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ফের ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতের স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরুর উদ্যোগ শুরু হয়েছে কেশপুরে। মঙ্গলবারই স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নিবেদিতা মাইতি। এ বার বিভিন্ন দফতরের কর্মাধ্যক্ষদের নিয়ে বৈঠক হবে। আগে এখানে প্রতি সপ্তাহেই প্রধানদের নিয়ে বৈঠক হত। সেখানে এলাকার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হত। সাধারণত, প্রতি পঞ্চায়েত সমিতিতেই এমন বৈঠক হয়। কিন্তু গত ক’মাস ধরেই কেশপুরে গ্রামোন্নয়নের কাজ থমকে রয়েছে। ‘পরিবর্তিত’ রাজনৈতিক পরিস্থিতির জেরেই এই অবস্থা। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ফের স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “কেশপুরে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম ফের শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকেই কাজে গতি আনার জন্য উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে।” বুধবার জেলা পরিষদের সাধারণ সভা হয়েছে। সভাধিপতি ছাড়াও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা সভায় যোগ দেন। প্রতি তিন মাস অন্তর জেলা পরিষদের এমন সভা হয়। এ দিনের সভায় বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা হয়। কাজ এগোনোর ক্ষেত্রে কী কী সমস্যা হচ্ছে, সভাপতিরা সে কথা জানান। সহায়ক-মূল্যে ধান কেনা ও গরিব মানুষদের ২ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। অভিযোগ, রাজ্য সরকার ২ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও প্রতি সপ্তাহে তা দেওয়া হচ্ছে না। ফলে, গরিব মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। সহায়কমূল্যে ধান কেনায় স্বচ্ছতা বজায় রাখারও দাবি ওঠে। সভাধিপতি অবশ্য জানান, এ দিকে জেলা পরিষদের নজর রয়েইছে। সভা শেষে অন্তরাদেবী বলেন, “এটা রুটিন সভা। প্রতি তিন মাস অন্তরই জেলা পরিষদের সাধারণ সভা হয়। উন্নয়নের কাজকর্ম নিয়েই আলোচনা হয়েছে।”
রাজ্যে পালাবদলের পর কেশপুরের পরিস্থিতিও পাল্টেছে। একদা সিপিএমের ‘দুর্গ’ এখন তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে। তাদের দলে আবার একাধিক গোষ্ঠী রয়েছে। বিভিন্ন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই জুলুমের অভিযোগ নিয়মিত উঠছে। এই ‘জুলুমে’র জেরে এলাকা ছাড়া অনেক সিপিএম কর্মী-সমর্থক। একাধিক কঙ্কাল-কাণ্ডে নাম জড়িয়েও অনেকে ‘ফেরার’। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতি, বিভিন্ন পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও। রয়েছেন কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তড়িৎ খাটুয়া স্বয়ং। সভাপতি না-থাকায় গ্রামোন্নয়নের কাজ এগোনোর ক্ষেত্রে নানা সমস্যা হচ্ছে। পরিস্থিতি বুঝে এখন সহ-সভাপতি নিবেদিতা মাইতিকেই সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তৃণমূলের একাংশ কেশপুরে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালানোর ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, অপপ্রচার করতেই অভিযোগ। দীর্ঘ দিন পর মঙ্গলবারই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন সহ-সভাপতি। যদিও কয়েক জন প্রধান এই বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন না। আজ, বৃহস্পতিবার ফের একদফা বৈঠকের কথা। যেখানে প্রধানদের পাশাপাশি কর্মাধ্যক্ষরা উপস্থিত থাকবেন। পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্য বলেন, “সংস্কারের অভাবে কিছু রাস্তা খারাপ হয়ে গিয়েছে। দ্রুত রাস্তা মেরামতের কাজ শুরুর চেষ্টা চলছে।” |
|
|
|
|
|