সাফ টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র চার দিন আগে জাম্বিয়ার কাছে ০-৫ গোলে নাস্তানাবুদ হওয়ার জন্য নিজেদের ক্লান্তিকে দায়ী করছেন রহিম নবি-সহ ভারতীয় দলের অধিকাংশ ফুটবলার। আবার জাতীয় কোচ স্যাভিও মেদেইরা মেনে নিচ্ছেন টেকনিকের দিক দিয়ে জাম্বিয়ার প্লেয়াররা ভারতীয়দের থেকে অনেক উঁচুমানের। আর সে জন্য গতকালের রেজাল্টে তিনি ভেঙে পড়ছেন না।
পানাজি থেকে আজই স্যাভিও-নবিরা দিল্লিতে পৌঁছলেন। ঘরের মাঠে সাফ টুর্নামেন্ট খেলার জন্য। জাম্বিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের সেরা পারফরম্যান্স যিনি করেছিলেন সেই রহিম নবি এ দিন বললেন “আই লিগ ম্যাচগুলোর পাশাপাশি দেশের হয়ে খেলতে-খেলতে জাতীয় ফুটবলাররা আসলে ক্লান্ত। তবে সেটাই কালকের বড় ব্যবধানে হারের একমাত্র কারণ নয়। প্রথমত, জাম্বিয়া বেশ উঁচুমানের দল। দ্বিতীয়ত, জাতীয় দলে একসঙ্গে প্রায় কোনও প্র্যাক্টিস ছাড়াই এই ম্যাচে নামতে হয়েছিল আমাদের। তৃতীয়ত আমাদের প্রধান দুই স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রী আর জেজে না থাকায় গোল করার লোক ছিল না এই ম্যাচে। তবে আমরা যে ভাল খেলতে পারিনি সেটাও অস্বীকার করার জায়গা নেই।” |
তবে পাঁচ গোলের ধাক্কা সাফ টুর্নামেন্টে ভারতীয় দলের উপর প্রভাব ফেলতে পারবে না বলেই মনে করছেন নবি। বললেন, “ওটা একটা আলাদা টুর্নামেন্ট। একটা ফ্রেন্ডলি ম্যাচের ফল কোনও ভাবেই আমাদের দলের উপর চাপ তৈরি করবে না সাফে। সুনীল ও জেজেকেও আমরা দিল্লিতে পেয়ে যাচ্ছি। তাই চিন্তার কোনও কারণ দেখছি না।”
একই মত স্যাভিওর। নবি-ক্লাইম্যাক্স-গাউলিদের কোচ বললেন “সাফ ফুটবলে এই রেজাল্ট ভারতীয় দলের মনোবলে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না যেমন, তেমন এটাও সত্যি যে, ভাগ্যিস এখানে জাম্বিয়ার মতো উঁচুমানের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।” সুনীল আর জেজের এই সময় গ্লাসগোতে ট্রায়াল দিতে যাওয়াটা অবশ্য ভাল ভাবে নিচ্ছেন না স্যাভিও। “জাম্বিয়ার মতো দলের বিরুদ্ধে ওদের দু’জনের না থাকাটা আমার ভাল লাগেনি। ওরা আবহাওয়ার সঙ্গে সড়গড় না হয়ে কী করতে যে এক সপ্তাহের ট্রায়াল দিতে গেল বুঝি না? তবে ওরা কালই এখানে পৌঁছে যাচ্ছে সেটাই স্বস্তি।”
সাফ টুর্নামেন্টে ভারতের প্রথম ম্যাচ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৩ ডিসেম্বর। ৫ তারিখ ভুটান এবং ৭ তারিখ গ্রুপের শেষ ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। অন্য গ্রুপে আছে মলদ্বীপ, বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তান। দুটো সেমিফাইনাল ৯ তারিখ। ফাইনাল ১১ ডিসেম্বর। প্রসঙ্গত নিরানব্বইয়ে ভারত একবারই সাফ কাপ ঘরের মাঠে (গোয়ায়) খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। |