|
|
|
|
খড়্গপুরে মহকুমা আদালত-ভবনের কাজ শেষ হয়নি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
এখনও খড়্গপুরে মহকুমা আদালত-ভবন তৈরির কাজ শেষ হল না। ফলে, ক্ষোভ ছড়িয়েছে নানা মহলে। খড়্গপুর মহকুমায় কোনও আদালতই নেই। ফলে, মামলার জন্য মহকুমার মানুষজনকে মেদিনীপুরেই আসতে হয়। মহকুমার দূর-দূরান্ত থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে মেদিনীপুরে আসার ক্ষেত্রে নানা সমস্যাও রয়েছে। সব রুটে সময়মতো বাসও পাওয়া যায় না। এই পরিস্থিতিতেই খড়্গপুর মহকুমায় আদালত-ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। জায়গা নির্দিষ্ট করে ৪ বছর আগে কাজ শুরু হয়।
কিন্তু, এখনও আদালত-ভবন তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। কবে হবে, সে নিয়েও সংশয় রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন অবশ্য জানাচ্ছে, কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে। খড়্গপুরের মহকুমাশাক সুদত্ত চৌধুরি বলেন, “দ্রুত কাজ শেষের চেষ্টা চলছে।” তবে, আগামী এক বছরের মধ্যেও কাজ শেষের সম্ভাবনা কম বলেই জানাচ্ছেন এক আধিকারিক। তাঁর কথায়, “যে গতিতে কাজ এগোচ্ছে তাতে পরিকল্পনা মতো ভবন তৈরির কাজ শেষ হতে বছর পেরিয়ে যাওয়ারই আশঙ্কা।” |
|
নিজস্ব চিত্র। |
জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাই খড়্গপুর মহকুমার অন্তর্গত। পশ্চিম মেদিনীপুরে মোট ২৯টি ব্লক রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি ব্লকই এই মহকুমায়। ১৫ বছর আগে খড়্গপুর মহকুমা তৈরি হয়। আগে এর নাম ছিল মেদিনীপুর সাউথ। ১৯৯৬ সালে খড়্গপুর নামে পৃথক মহকুমা তৈরি হয়। সাধারণত, প্রতি মহকুমাতেই আদালত থাকে। খড়্গপুরে বুলবুলচটির পাশে মীরপুর এলাকায় আদালত-ভবন তৈরি হচ্ছে। এক সময়ে খড়্গপুরে আদালত-ভবন তৈরির সিদ্ধান্তের অবশ্য বিরোধিতা করেছিলেন একাংশ আইনজীবী। তাঁদের বক্তব্য ছিল, মেদিনীপুরে গিয়েই মোকদ্দমা করা সম্ভব। তবে, আইনজীবীদের এই আপত্তিতে মহকুমা আদালত তৈরির কাজ থেমে থাকেনি। এখন মেদিনীপুরে জেলা আদালত ছাড়াও জেলার ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম ও গড়বেতায় আদালত রয়েছে। পিংলা, সবং, মোহনপুর, দাঁতন এলাকার মানুষের বক্তব্য, খড়্গপুরে আদালত হলে ওই এলাকার বহু মানুষ উপকৃত হবেন। তাঁদের আর দীর্ঘ পথ পেরিয়ে মেদিনীপুরে যেতে হবে না। একাংশ আইনজীবীও এখন বলছেন, “যে ভাবে মেদিনীপুর আদালতের উপর মামলার চাপ বাড়ছে, তাতে খড়্গপুরে আলাদা আদালত প্রয়োজন।”
তবে, এ সব ছাপিয়ে আদালত-ভবন তৈরির কাজ কবে শেষ হবে, এখন সেই প্রশ্নই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। অভিযোগ, ভবন তৈরির ক্ষেত্রে পূর্ত দফতরেরও গড়িমসি রয়েছে। সঠিক নজরদারির অভাবে কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দফতর অবশ্য কাজের ক্ষেত্রে গড়িমসির অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে। খড়্গপুর ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার-১ (পূর্ত) তপন সাহা বলেন, “স্বাভাবিক গতিতেই কাজ এগোচ্ছে। তিন তলা ভবন তৈরি হয়েছে। আরও কিছু কাজ বাকি আছে। দ্রুত কাজ শেষের চেষ্টা চলছে।” আদালত-ভবন তৈরির ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমাশাসকও। |
|
|
|
|
|