|
|
|
|
দোকান বিলিতে লাইলেন্সপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
‘গড়িমসি’র অভিযোগে সমালোচনার মুখে পড়ে মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে তৈরি হওয়া দোকানঘর বিলির ব্যাপারে অবশেষে দ্রুত পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিল মেদিনীপুর পুরসভা।
এ ব্যাপারে সুপারিশের জন্য বছরখানেক আগে গঠিত হয়েছিল কাউন্সিলর-কমিটি। মঙ্গলবার পুরবোর্ডের বৈঠকে কমিটির রিপোর্ট পেশ হয়। দোকানঘর বিলির ক্ষেত্রে ট্রেড-লাইসেন্স থাকা ব্যবসায়ীদেরই অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে ওই বৈঠকে। পুরপ্রধান প্রণব বসু জানিয়েছেন, বোর্ড-মিটিংয়ে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীদেরই অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে যদি দেখা যায়, লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীদের দেওয়ার পরেও কিছু ঘর বাড়তি থেকে যাচ্ছে, তখন ফের আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পুরপ্রধানের আশ্বাস, “এ বার দ্রুত পদক্ষেপই করা হবে।”
|
|
মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ডের খালি দোকানঘর। নিজস্ব চিত্র। |
মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড চত্বরে পুরসভার উদ্যোগেই ৮৫টি দোকানঘর তৈরি হয়েছে। গত বছর নির্মাণকাজ শেষ হলেও ঘর বিলির ক্ষেত্রে এত দিন কোনও পদক্ষেপ করেনি পুরসভা। বিভিন্ন মহলেই এ জন্য ক্ষোভ দেখা দেয়। নিজেদের দলের পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু করে কংগ্রেস-তৃণমূলের একাংশও। পুরবোর্ডেও নানা প্রশ্ন ওঠে। সুনির্দিষ্ট সুপারিশের জন্য গত ডিসেম্বরে পুরবোর্ডের এক বৈঠকে ৫ সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক হন পুরপ্রধান-পারিষদ (পূর্ত) দেবী চক্রবর্তী। পুর-কর্তৃপক্ষ জানান, দোকানঘরগুলি তৈরি করতে কত টাকা খরচ হয়েছে, কী ভাবেই বা ঘরগুলি বিলি করা হবে, এ সংক্রান্ত রিপোর্ট দেবে ওই কমিটি। বিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এক বছরেও অবশ্য সেই রিপোর্ট পেশ হয়নি। এ নিয়ে শহরে সমালোচনাও বাড়ছিল। অবশেষে মঙ্গলবারের বোর্ড মিটিংয়ে সেই রিপোর্ট পেশ হয়। লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে দোকানঘর বিলির দাবি তুলে সোমবারই শহরে মিছিল করেছিল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত একটি সংগঠন। সংগঠনের বক্তব্য, বাসস্ট্যান্ড চত্বরে ব্যবসা করার জন্য ১১৪ জনের লাইসেন্স রয়েছে। তবে, তাঁদের সবার স্থায়ী দোকান নেই। অনেকে ঝুপড়ি তৈরি করে ব্যবসা করেন। তাঁদেরই দোকানঘরগুলি দেওয়া হোক। শেষ পর্যন্ত সেই দাবিই পূরণ হতে চলেছে।
পুর-কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পুরসভা বাড়তি টাকা নেবে না। শুধুমাত্র দোকানঘর তৈরির খরচ ও তার সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশ টাকা নেওয়া হবে। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, “কোনও দোকানঘর তৈরিতে যেখানে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, সেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নেওয়া হতে পারে।” নানা রকম আশ্বাস অবশ্য এর আগেও দেওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দোকানঘর ঠিক কবে বিলি হবে, সেটাই এখন দেখার। |
|
|
|
|
|