নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গুরুতর দগ্ধ হলেন এক গৃহবধূ ও তাঁর দেড় বছরের শিশুপুত্র। বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগাছা থানার ধাড়সা কাঁটাপুকুরে। ৯০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় আরতি কর্মকার নামে ওই বধূ ও তাঁর ছেলে দেবজ্যোতি হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি। স্ত্রী ও ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হন আরতির স্বামী, পেশায় নির্মাণকর্মী দিলীপ কর্মকারও। তাঁর আঘাত গুরুতর নয়।
পুলিশ জানায়, টালির চালের ঘরে ভাড়া থাকত ওই পরিবার। মাঝেমধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হত। পড়শি অরূপ ভট্টাচার্য বলেন, “মঙ্গলবার রাতেও ওঁদের ঝগড়া হয়।” স্থানীয়রা জানান, দিলীপবাবুদের ঘর থেকে ধোঁয়া ও আগুন বেরোতে দেখে তাঁরাই বালতি করে জল ঢালতে শুরু করেন। অনেক পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন আসে। ততক্ষণে টালির চাল ও ঘরের সব আসবাব পুড়ে ছাই। পড়শিরাই অচৈতন্য পরিবারটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁদের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে ছেলেকে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন আরতি। তবে, পুলিশ নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি।
|
ভস্মীভূত সেই ঘর। বুধবার, কাঁটাপুকুরে। নিজস্ব চিত্র |
ডিসি (সদর) সুকেশকুমার জৈন বলেন, “ঠিক কী ভাবে ওই বাড়িতে এত বড় আগুন লাগল, কী ভাবেই বা ওই দু’জন অগ্নিদগ্ধ হলেন, তা পরিষ্কার নয়। ঘটনাস্থল থেকে কেরোসিন বা তা রাখার পাত্র মেলেনি। তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে ফরেন্সিক পরীক্ষা হতে পারে।”
গুদামে আগুন। আগুনে পুড়ে গেল ছাঁট কাপড়ের একটি গুদাম। মঙ্গলবার রাতে, হাওড়া মালিপাঁচঘরার জে এন মুখার্জি রোডে। আগুন ছড়ায় পাশের তুলোর গুদামেও। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন প্রায় ছ’ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। জে এন মুখার্জি রোড বন্ধ করে দেওয়া হয়। যায় বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফ। দমকল সূত্রে খবর, কেউ হতাহত হননি। তাদের অনুমান, গুদামের পাশে একটি ভ্যাটে লাগানো আগুন থেকেই এই ঘটনা।
পুলিশ জানায়, গভীর রাতে পোড়া গন্ধ পেয়ে স্থানীয়েরা দেখেন, গুদাম জ্বলছে। অভিযোগ, দমকলে বারবার ফোন করেও সাড়া মেলেনি। দমকল দেরিতে আসায় আগুন আরও ছড়ায়। অভিযোগ অস্বীকার করে দমকলের হাওড়ার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি ডিরেক্টর বিভাস গুহ বলেন, “আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। সময় মতো না গেলে আরও বড় বিপদ হত।” বাসিন্দারা জানান, লাগোয়া ভ্যাটে প্রতিদিনই প্লাস্টিক, থার্মোকল আলাদা করতে আগুন জ্বালানো হয়। সেখান থেকেই আগুন ছড়ায়। দমকল জানায়, গুদামটিতে জলের ব্যবস্থা ছিল না। গঙ্গা থেকে জল এনে আগুন নেভানো হয়। |