নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
দফতরের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে আরামবাগে এসে একটি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি এসে ওঠেন চাঁদুর বনবাংলোয়। সেখানেই রাত কাটানোর কথা ছিল। সওয়া ১০টা নাগাদ বাংলোর খড়ের চালে আগুন লেগে যায়। পাশের ঘরে ছিলেন হুগলি-হাওড়ার ডিএফও গৌতম চক্রবর্তী। তিনি আগুন ও ধোঁয়া দেখে তখনই ঘর থেকে বেরিয়ে মন্ত্রীকেও বের করে আনেন। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এসে দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘরের চাল পুড়ে যায়। আসবাবেও আগুন লেগেছিল। বনমন্ত্রীকে রাত কাটাতে হয় পাশে জেলা পরিষদের বাংলোয়। |
দমকলকর্মীদের অনুমান, বিদ্যুতের লাইনে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। বুধবার সকালে অবশ্য বনমন্ত্রী দফতরের যাবতীয় কাজ সেরেছেন। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “ভাগ্যিস ঘুমিয়ে পড়িনি। অল্পের জন্য বাঁচলাম।”
প্রশাসন জানায়, আরামবাগ মহকুমায় মোট বনাঞ্চল ৮৬১ একর। বুধবার চাঁদুর এবং গোঘাটের ভাদুরের বনাঞ্চল পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। দ্বারকেশ্বর নদীর দু’পাড়ে ওই দুই বনাঞ্চল। নদীর পাড় ধসে নষ্ট হচ্ছে বনাঞ্চল। রয়েছে গাছ চুরির অভিযোগও। সে সব নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন বনমন্ত্রী। জেলা পরিষদের বাংলোয় ফিরে বৈঠকও করেন। বৈঠক শেষে বনমন্ত্রী বলেন, “দফতরের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে এসেছি। সংখ্যায় কম থাকায় আধিকারিক এবং কর্মীদের নানা অসুবিধা হচ্ছে। তা ছাড়া, আরামবাগকে করিডর হিসাবে ব্যবহার করে বেআইনি ভাবে কাটা গাছ পাচার করা হচ্ছে। এ জন্য আরামবাগে একটি চেকপোস্ট বসানোর কথা ভাবা হচ্ছে। কর্মী ও বনরক্ষীর সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনাও করা হয়েছে।”
দ্বারকেশ্বরের প্লাবনে বনভূমি ধ্বংস হওয়া ঠেকাতে সেচ দফতরের সাহায্য নেওয়া হবে বলে বনমন্ত্রী জানান। বনমন্ত্রী বলেন, “দ্বারকেশ্বরের প্লাবনে ভূমিক্ষয়ের বিষয়টি সেচ দফতরকে জানানো হবে। প্লাবন ঠেকানো গেলে বনভূমিও বাঁচানো যাবে।” |