|
|
|
|
পরিকাঠামো উন্নয়ন তলানিতে • শঙ্কা শিল্পমহলে • বাড়ল সেনসেক্স |
আর্থিক বৃদ্ধি ৭ শতাংশের নীচে |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
অপ্রত্যাশিত। আর্থিক বৃদ্ধি জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে ৬.৯ শতাংশে নেমে আসাকে এক কথায় এই তকমাই দিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান সি রঙ্গরাজন। আর, অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য উপদেষ্টা কৌশিক বসুর মতে, এর জন্য কিছুটা দায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণে ঢিলেমি। হতাশ শিল্পমহলও। প্রসঙ্গত, আগের বছর একই সময়ে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) বা আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৪%।
পাশাপাশি, পরিকাঠামো শিল্পে উৎপাদন বৃদ্ধিও অক্টোবরে নেমেছে তলানিতে। ৮টি পরিকাঠামো শিল্পে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ০.১%। আগের বছরের একই মাসের হার ৭.২%। তবে দুশ্চিন্তার মধ্যেও কিছুটা রুপোলি রেখা, শেয়ার বাজারে চাঙ্গা ভাব।
কৌশিকবাবুর মতে আর্থিক বৃদ্ধির এই হার হতাশা -জনক হলেও তা অবশ্য মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সঙ্কটে পড়া বিশ্ব অর্থনীতির যা গতিপ্রকৃতি, তাতে ৬.৯ শতাংশ বৃদ্ধি হতাশাজনক নয়। মাঝারি মেয়াদে বৃদ্ধির হার ধরে রাখতে সরকার প্রয়োজনে নীতি বদল করবে বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন। |
|
প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উৎপাদন শিল্প এবং খনি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির ধীরগতির কারণেই কমেছে আর্থিক বৃদ্ধি। এই ঢিমেতালে বৃদ্ধির জন্য তিনটি কারণকে দায়ী করেছেন কৌশিকবাবু। সেগুলি হল:
• বিশ্ব অর্থনীতি নতুন করে মন্দার কবলে পড়া
• চড়া মূল্যবৃদ্ধির হার বাগে আনতে না পারা
• সিদ্ধান্ত গ্রহণে অহেতুক শৈথিল্য
প্রণববাবু এবং কৌশিকবাবু অবশ্য একটি বিষয়ে মোটামুটি ভাবে একমত। তা হল, সামগ্রিক ভাবে চলতি ২০১১-’১২ আর্থিক বছরে আর্থিক বৃদ্ধির হার প্রণববাবুর হিসেবে দাঁড়াবে ৭.৩ শতাংশ, কৌশিকবাবুর মতে ৭.৫ শতাংশ। যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়ার ধারণাও একই। উল্লেখ্য, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের ছ’মাসে আর্থিক বৃদ্ধি পৌঁছেছে ৭.৩ শতাংশে। আগের বছরের একই সময়ের হার ৮.৬ শতাংশ।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির এই হার কমে গত ন’টি ত্রৈমাসিকের মধ্যে সবচেয়ে নীচে নেমে আসাকে ভারতের উপর বিশ্ব-মন্দার মেঘ ঘনিয়ে আসার লক্ষণ বলেই শঙ্কিত শিল্পমহলও। সিআইআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যো- পাধ্যায়ের মতে, অর্থনীতি যে মন্দাক্রান্ত, তাতে শিলমোহর দিল এ দিনের পরিসংখ্যান। অ্যাসোচ্যামও সুদ কমানোর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে আর্জি জানিয়েছে।
আর্থিক বৃদ্ধি কমার পরিসংখ্যান এ দিন প্রভাব ফেলেনি বাজারে। সেনসেক্স ১১৫ পয়েন্ট বেড়ে ছুঁয়েছে ১৬,১২৩.৪৬ পয়েন্ট। পড়তি বাজারে শেয়ার কেনার উৎসাহের জেরেই বুধবার শেয়ার সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলি এ দিনও ভারতের বাজারের থেকে মুখ ফিরিয়ে ছিল। শেয়ার বাজার চাঙ্গা থাকা সত্ত্বেও, মূলত বিদেশি লগ্নিকারীদের তরফে ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে এ দিনও ডলারে টাকার দাম ১৮ পয়সা পড়েছে। বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৫২.২০/২১ টাকা। আমদানিকারীদের ডলারের চাহিদাও ছিল যথেষ্ট বেশি। |
|
|
|
|
|