|
|
|
|
পেট্রোলের দাম কমলো ৮২ পয়সা |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পনেরো দিন পর আরও এক বার কমলো পেট্রোলের দাম। সিঙ্গাপুরে পেট্রোলের গড় দাম কিছুটা নেমে আসাতেই এটা সম্ভব হল বলে জানিয়েছে তেল সংস্থাগুলি। বুধবার মাঝরাত থেকে নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। কলকাতায় দাম কমেছে লিটারে ৮২ পয়সা।
রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি অবশ্য দাম কমিয়েছে লিটারে ৬৫ পয়সা। এর সঙ্গে এক-এক রাজ্যে এক-এক রকম করের অঙ্ক যোগ হওয়ায় দিল্লিতে কমেছে ৭৮ পয়সা, মুম্বইয়ে ৮২ পয়সা ও চেন্নাইয়ে ৮৩ পয়সা। কলকাতায় পেট্রোলের নতুন দাম দাঁড়িয়েছে লিটারপ্রতি ৭০.০২ টাকা, দিল্লিতে ৬৫.৬৪ টাকা, মুম্বই ৭০.৬৫ এবং চেন্নাই ৬৯.৫৫ টাকা।
খাদ্যপণ্য ও অন্যান্য অত্যাবশ্যক পণ্যের অগ্নিমূল্যের মধ্যেই গত ৩ নভেম্বর ১.৮২ টাকা দাম বাড়িয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়া ও ডলারের তুলনায় টাকার দাম নেমে যাওয়ায় তেল সংস্থাগুলির বিপুল লোকসান হচ্ছিল। খোদ পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীও বলেছিলেন, এমন চললে ব্যাঙ্কগুলির কাছ থেকে ঋ
ণ পাওয়াও শক্ত হয়ে পড়বে তেল সংস্থাগুলির পক্ষে। তবু খাদ্যপণ্য ও অত্যাবশ্যক সামগ্রীর অস্বাভাবিক চড়া দামের মধ্যেই আমজনতার ঘাড়ে বাড়তি বোঝা চাপায় প্রবল আক্রমণের মুখে পড়তে হয় মনমোহন সরকারকে। প্রবল আপত্তি জানিয়ে শরিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ছাড়ারও হুঁশিয়ারি দেন। কেন্দ্রের তরফে অবশ্য বরাবরই বলা হচ্ছিল, এখন আর সরকার পেট্রোলের দাম নিয়ন্ত্রণ করে না। ১৫ দিন অন্তর দাম পর্যালোচনা করে তেল সংস্থাগুলিই। তবু প্রশ্ন উঠতে থাকে, ২০১০ সালের জুনে পেট্রোলের দাম বিনিয়ন্ত্রণের পর
থেকে এক বারের জন্যও দাম কেন কমেনি? কেন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও দেশে দাম কমে না? এই সব চাপানউতোরের মধ্যেই গত ১৫ নভেম্বর পেট্রোলের দাম লিটারে ২.৩১ টাকা কমিয়ে আনে তেল সংস্থাগুলি। ১৮ মাসের মধ্যে প্রথম বার। তার ১৫ দিনের মাথায় কমলো আরও এক বার।
তেল সংস্থাগুলি জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরে গড় দাম ব্যারেলে ১১৪.১৩ ডলার থেকে ১০৮.৭৬ ডলারে নেমে এসেছে বলেই এটা সম্ভব হল। তবে বুধবারই বিমান জ্বালানি (এটিএফ)-র দাম কিলোলিটারে ৩.৭% বাড়ানো হয়েছে। এই নিয়ে চলতি মাসে এই জ্বালানির দাম বাড়ল তিন বার। এর ফলে কিংফিশার-সহ দেশের বিমান সংস্থাগুলি আরও চাপে পড়ে গেল। |
|
|
|
|
|