|
|
|
|
দামোদরে ফের মাছ ছাড়া হল ২২ কুইন্টাল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
নদীর মাছ ফিরিয়ে দেওয়া হল নদীতেই। বর্ধমান জেলা মৎস দফতরের উদ্যোগে বুধবার দুপুরে বর্ধমানের উপকণ্ঠে পাল্লা-শ্রীরামপুর ঘাটে দামোদরে ছাড়া হল মোট ২২ কুইন্টাল রুই, কাতলা, মৃগেল এবং অবলুপ্ত হয়ে যাওয়া ল্যাটা, কই, ফলুই, চিতল থেকে মাগুর, সিঙ্গি, চ্যাঙ, শোল ইত্যদি নানা মাছের চারা। মৎস দফতরের উপ-অধিকর্তা সজল সাহা বলেন, “এই নিয়ে জেলায় পাঁচ জায়গায় ভাগীরথী ও দামোদরে মাছ ছাড়া হল। প্রত্যেকটিতেই ২২ কুইন্টাল করে মাছ ছাড়া হয়েছে। মাছ ছাড়া হচ্ছে ‘নদী মৎস সঞ্চার প্রকল্পে’র আওতায়। এটি রাজ্য সরকারের প্রকল্প। নদীর আশপাশের গ্রামগুলিতে যে সব মৎসজীবীরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন, তাঁদের রুজি যাতে বন্ধ না হয়, তার ব্যবস্থা করাই এর উদ্দেশ্য।” |
|
মাঝ-দামোদরে জাল ফেলে চলছে মাছ ধরা। বর্ধমানের সদরঘাটে ছবিটি তুলেছেন উদিত সিংহ। |
বর্ধমানের বিভিন্ন ছোট ও বড় নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন, এমন লোকের সংখ্যা জেলায় প্রায় ৫০ হাজার। তাঁদের জীবিকা নির্বাহের জন্য এই চারাপোনা ছাড়া হয়েছে। সজলবাবুর কথায়, “এই চারাপোনাগুলি গোটা নদী জুড়েই ছড়িয়ে পড়বে। এবং দ্রুত বংশবৃদ্ধি হলে নদী মাছশূন্য হয়ে পড়বে না।” ১৯৯১-৯২ সাল থেকেই বিশেষত ভাগীরথীতে এই ধরনের চারা মাছ ছাড়া শুরু হয়েছিল। মাঝে অর্থ মঞ্জুর না হওয়ায় চার-পাঁচ বছর এই কাজ বন্ধ ছিল। ২০১০ সাল থেকে নতুন করে আবার এই কাজ শুরু হয়েছে।
এত মাছের জোগান মিলছে কী করে? জেলা মৎস্য আধিকারিক (সমবায়) অসীম মহান্ত বলেছেন, “রাজ্য সরকারের কাছ টাকা মেলার পরে আমরা বর্ধমানের সেন্ট্রাল ফিশারমেন কো-অপারেটিভ সোসাইটির কাছ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে রুই কাতলা মৃগেল ও ২০০ টাকা কেজি দরে মাগুর, সিঙ্গি, ফলুইয়ের মতো বিপন্ন প্রজাতির মাছ কিনেছি। সেই মাছই চার দিকে ছাড়া হয়েছে।” |
|
|
|
|
|