এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস ও তৃণমূল সমর্থকদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত কালিয়াচক থানার সুজাপুর বামনগ্রাম। রবিবার সন্ধের পরে শুরু ওই সংঘর্ষে পেটে গুলি লাগে তৃণমূল সমথর্ক মুস্তাকিন শেখের। প্রথমে মালদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে কলকাতা রেফার করেন। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “এলাকা দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বোমা গুলির লড়াই চলছে। পরিস্থিতি সামলাতে বাহিনী পাঠানো হয়েছে।”
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, সভা সেরে মুস্তাকিন কর্মীদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। বামনগ্রামের লালবাজারের কাছে দু’দলে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় লালবাজার। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি, রাজ্যের নারী-শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র অভিযোগ করেন, “ক’দিন আগে গাজলে কংগ্রেসের সমর্থকরা আমাদের কর্মী প্রেমচাঁদ বলকে খুন করে। গনি পরিবারের নামে জেহাদ ঘোষণা করে বহু কংগ্রেসী তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। আজই বীরনগর-২ অঞ্চলের কংগ্রেস সভাপতি ভুপাল ঘোষ দলবল নিয়ে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে দেখে দিশেহারা কংগ্রেস হামলা চালাচ্ছে।” রাতে জেলার কংগ্রেস সাংসদ, প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর বলেন, “সিপিএমের দুষ্কৃতীরা পিঠ বাঁচাতে তৃণমূলে ঢুকছে। তারাই ক্ষমতা দখল করতে নিজেদের মধ্যে লড়াই করে গুলিবিদ্ধ হচ্ছে, জখম হচ্ছে। গোষ্ঠী-কোন্দল ঢাকতে কংগ্রেসীদের উপর দোষ চাপানো হচ্ছে।” তিনি বলেন, “কংগ্রেসকে দুর্বল করতে তৃণমূল আসরে নেমেছে। ওরা যতই চেষ্টা করুক, মালদহে কংগ্রেসের শক্তি এক নম্বরে ছিল, আছে ও থাকবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রমাণ করে দেব।” |