আমাদের চিঠি
অন্ডালের কোনও উন্নতি হল না
পূর‌্ব রেলওয়ের অন্ডাল রেল জংশন এবং রেলওয়ে ইয়ার্ড খুব গুরুত্বপূর্ণ পণ্য পরিষেবা কেন্দ্রস্থল। অন্ডাল রেল ইয়ার্ডের মাধ্যমে সারা দেশে কয়লা পরিবহণ হয়। ইস্পাত, সিমেন্ট, ডি ভি সি-র তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, অ্যালয় স্টিল ইত্যাদি কারখানার প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, আকরিক লোহা, লাইম স্টোন, কোক কয়লা, কয়লা ইত্যাদি অন্ডাল রেল ইয়ার্ডের মাধ্যমে পরিবহণ হয়ে থাকে। এ ছাড়া কারখানার তৈরি পণ্য সামগ্রীও এই ইয়ার্ডের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিবহণ হয়। পূর্ব রেলওয়ে অন্ডাল ইয়ার্ডের মাধ্যমে রেল বিপুল পরিমাণ পণ্য মাশুল সংগ্রহ করে থাকে। এ ছাড়া যাত্রী পরিবহণ বাবদও আর্থিক লাভ হয়।
স্বাধীনতার ৬৪ বছরে রাজ্য সরকার এবং রেল কর্তৃপক্ষও অন্ডালের সার্বিক উন্নয়নে কোনও কাজ করেনি; চরম অবহেলা করেছে। যথেষ্ট সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অন্ডালের উন্নয়নে সামান্য ব্যবস্থা করতেও ব্যর্থ হয়েছে।
অন্ডালে সেতুর একটি মুখই খোলা। ছবি: তুষার সরকার
অন্ডাল রেল স্টেশনে যাওয়ার জন্য রয়েছে ব্রিটিশ আমলে তৈরি ভূতল সেতু। এই ভূতল সেতুর দু’টি মুখ ছিল। দীর্ঘ দিন ধরে একটি মুখই খোলা আছে। উভয় দিক থেকে এই একমুখী সেতুপথে দৈনিক কয়েকশো বালির লরি, বাস, মিনিবাস, গাড়ি যাতায়াত করে। বর্ষায় এই ভূতল সেতু বৃষ্টির জলে ভরে থাকে। মানুষ অসহায়, কর্তৃপক্ষ চোখ বন্ধ করে থাকে। এ ছাড়া অন্ডাল রেল হাসপাতালটিরও কোনও উন্নয়ন হয়নি। রেল ইনস্টিটিউটের অবস্থা শোচনীয়, সমাজবিরোধীদের আড্ডায় পরিণত হয়েছে সেটি। অন্ডালে রেলের জমি ও বহু আবাসন বেআইনি ভাবে দখল করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমগ্র বিষয়টি পরীক্ষা করে রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীকে যথাযথ নির্দেশ দিলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন।
রাস্তা জুড়ে ব্যবসা
আসানসোল শহরের প্রাণকেন্দ্র চেলিডাঙ্গা, হিলভিউ পার্ক এলাকার মাঝখান দিয়ে গিয়েছে গড়াই রোড, যা এস বি গড়াই রোড নামে পরিচিত। আসানসোলের ফৌজদারি আদালত থেকে শুরু করে মণিমালা বালিকা বিদ্যালয় পর্যন্ত গড়াই রোডের দু’ধারে ইদানীং কিছু মানুষ ঠেলাগাড়িতে ফলমূল, শাক-সব্জির পসরা সাজিয়ে দিনের ব্যস্ততম সময়ে জমিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। একেই এই রাস্তার দু’ধারে ফুটপাত বলে কিছু নেই, তারপর বহুতলের নির্মাণকাজ চলায় রাস্তার ওপর ইট বালি স্তূপ করে রাখা আছে। পথচারীদের বাধ্য হয়ে রাস্তার ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে হয়। দিনের ব্যস্ত সময়ে ছাত্রছাত্রী, অফিসযাত্রীদের ভিড় লেগেই থাকে। গড়াই রোড চিরে চলে গিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর-আদ্রা-আসানসোল লাইন। তাই, লেভেল ক্রসিংয়ে গেট পড়ে গেলে এমন জ্যাম লাগে যে মানুষের প্রাণান্তকর অবস্থা হয়। কিন্তু এ সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা তাদের ঠেলাগাড়ি এক ইঞ্চিও সরাবার প্রয়োজন মনে করে না। এ ভাবে রাস্তা দখল করে মাসের পর মাস ব্যবসা চালিয়ে নিত্য যাতায়াতকারী মানুষজনের অসুবিধা সৃষ্টি করে গেলেও পুরসভা নির্বিকার। মেয়র একজন আইনজীবী। এই রাস্তা দিয়েই তাঁর আদালতে যাতায়াত। তাঁর চোখে নিশ্চয়ই এ ভাবে রাস্তা দখল করে অবৈধ ভাবে ব্যবসা চালানোর ছবি ধরা পড়েছে। পুরসভার নিষ্ক্রিয়তাই এই ব্যবসায়ীদের সাহসী করে তুলেছে। পুলিশ প্রশাসন জেগে আছে বলে মনে হয় না। পুরসভার মেয়র ও প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে শহরবাসীর অনুরোধ, রাস্তা দখল করে মানুষের হয়রানি বাড়িয়ে ব্যবসা বন্ধ করুন, যাতে পথচারীর পথ চলতে কোনও অসুবিধা না হয়, কারণ পথ পথিকের, ব্যবসার ক্ষেত্র নয়।
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি,
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.