|
|
|
|
|
|
পড়া শুরুর আগে... |
আগে নিজের মনের ম্যানেজমেন্ট |
ডাক্তারির মতোই, ম্যানেজমেন্টও পড়লেই হবে না, কাজের মধ্যে দিয়ে ক্রমাগত
শিখতে হবে। তবে প্রথমে জানা চাই, ব্যাপারটা ঠিক কী। জানাচ্ছেন শিলু চট্টোপাধ্যায় |
ম্যানেজমেন্ট পড়া আজকাল খুব জনপ্রিয় হয়েছে। ‘ক্যাট’ জাতীয় পরীক্ষা দিয়ে এক বার এম বি এ কোর্সে ঢুকে পড়তে পারলে সচরাচর ভদ্র মাইনের চাকরি বাঁধা। ফলে আগ্রহটা স্বাভাবিক। কিন্তু এই ভাবী ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ধারণাটা যে স্বচ্ছ, এমনটা বোধ হয় না। ষাটের দশকের শেষ দিকে আমি নিজেই পরীক্ষা দিয়ে এক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে গিয়েছিলাম। তখন আমিও জানতাম না যে ম্যানেজমেন্ট খায় না মাথায় মাখে। তবু কোর্সে ঢুকেছিলাম, কারণ এক বন্ধুর মাসতুতো দাদা পাশ করে চার হাজারি (তখন অনেক টাকা) চাকরি পেয়েছিল। এখন ভাবতে গিয়ে মনে হয় যে, বিষয়টা নিয়ে অল্পস্বল্প ধারণা থাকলে বুঝি সুবিধাই হত।
যে কোনও কোম্পানি কিছু একটা প্রোডাক্ট, যেমন সাবান, তেল, সেফটিপিন বা উড়োজাহাজ তৈরি করে, আর তার পর তা বিক্রি করে। তৈরি করার খরচ আর বিক্রি করার দাম, এ দুইয়ের তফাতটাই হল ব্যবসার লাভ। আর তাই খদ্দেরদের খুশি রেখে যতটা সম্ভব আয় বাড়ানো আর চিন্তাভাবনা করে সাধ্য মতো ব্যয় কমানো এটাই যে-কোনও ব্যবসার লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্যে পৌঁছনোর চেষ্টাকেই একটা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা বা ম্যানেজমেন্ট বলে।
এটা বোধ হয় বলে নেওয়া ভাল যে, ব্যবসার পরিচালনা ব্যবস্থা স্বভাবতই নির্ভর করে কী ব্যবসা, তার ওপর। যদি কেউ মেশিন তৈরি করে, তা হলে তার পরিচালনা করার ধরনটা এক রকম হবে; কেউ যদি হোটেল চালায়, তা হলে আর এক রকম হবে; আবার কেউ যদি দাঁতের মাজন বা কাপড় কাচার সাবান তৈরি করে, তা হলে সেটা বেশ অন্য রকম হবে। এই লেখাতে ম্যানেজমেন্ট বলতে রোজকার বাড়িতে ব্যবহার হয় এমন জিনিস বা প্রোডাক্ট তৈরির ব্যবসা নিয়ে কথা বলা হয়েছে, কারণ খুব সম্ভবত এই ধরনের জিনিসের ব্যবসার ব্যবস্থাপনাই সব থেকে বিস্তৃত।
এই ধরনের ব্যবসা সাধারণত কারখানায় বিভিন্ন কাঁচামাল বা র-মেটিরিয়ালকে প্রযুক্তির সাহায্যে একটা ব্যবহারযোগ্য প্রোডাক্টে বদলে ফেলা হয়। সেই প্রোডাক্ট আমরা অনেকে কিনি, আর তা থেকে কোম্পানির আয় হয়। তাই কারখানায় প্রোডাক্ট তৈরি আর বাজারে তার বিক্রি, এই দুইয়ের ব্যবস্থাপনার ব্যাপারটা আলাদা করে বুঝে নেওয়া দরকার হবে। |
|
প্রথমে বোঝা যাক কারখানায় প্রোডাক্ট তৈরি করার ব্যবস্থাপনার ব্যাপারটা। এটাকে সাধারণত প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট বা উৎপাদনের ব্যবস্থাপনা বলা হয়। উৎপাদনের জন্য প্রথমেই ভাবতে হবে কাঁচামালের কথা, যা দিয়ে কোম্পানির প্রোডাক্ট তৈরি হবে। সেই মাল ঠিক গুণমানের কেনা এবং ঠিক দামে কেনাটা জরুরি। অনেক সময়ই কোম্পানি নিযুক্ত বিজ্ঞানীরা নানান রাসায়নিক পরীক্ষা করে কাঁচামালের গুণ সম্পর্কে নিশ্চিত হন। আর ঠিক দামে কেনার জন্য নানান জায়গা থেকে দরদাম আনাতে হয়। আর দরাদরি তো থাকেই। এ ছাড়াও ভাবতে হয় কাঁচামালের জোগানের ব্যাপারে। মেশিন চলতে চলতে যদি কাঁচামাল ফুরিয়ে যায়, তা হলে তো উৎপাদন আটকে যাবে; মেশিন বন্ধ করে দিতে হবে। আর যাঁরা মেশিনে কাজ করেন, তাঁদের কাজ থাকবে না, অথচ মাইনে দিয়ে যেতে হবে। এতে কোম্পানির লোকসান। আবার উল্টো দিকে, এই ভয়ে যদি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি কাঁচামাল কিনে রাখো, তা হলেও কিন্তু বিপদ। অনেকগুলো টাকা ওই অতিরিক্ত মজুত কাঁচামালের দরুন আটকে থাকবে। ফলে অন্য কাজে টাকা লাগলে ব্যাঙ্ক থেকে ধার করতে হবে। আর সেই সুদটা হবে অতিরিক্ত খরচ। ফলে ঠিক ঠিক সময়ে, ঠিক ঠিক পরিমাণের কাঁচামাল কেনাটা ভাল ব্যবস্থাপনার লক্ষ্য।
উৎপাদন ব্যবস্থাপনার আর একটা জরুরি দিক হচ্ছে মেশিনের দেখাশোনা করা। কাঁচামাল আছে, মেশিন চালানোর লোক আছে, কিন্তু মেশিন বেঁকে বসেছে। সেই একই সমস্যা। লোকেদের বসিয়ে বসিয়ে মাইনে দিতে হবে, কাঁচামাল কেনার টাকাটা অহেতুক আটকে থাকবে। তাই মেশিনগুলোকে খুব খাতির করতে হয়। একটা নিয়ম করে যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করতে হয়। মেশিন বন্ধ করে রেখে তার শুশ্রূষা করতে হয়। এতো তোয়াজ করা এই জন্য যে, হঠাৎ করে মেশিন মহাশয় রেগে গিয়ে যেন কাজ বন্ধ না করেন। তা হলে সমূহ বিপদ।
এই সব সামলে জিনিসপত্র তো তৈরি হল। এ বার সেটা বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। ম্যানেজমেন্টের এই দিকটাকে বিপণন পরিচালন বা মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট বলা হয়। বিক্রি করতে গেলে প্রথম কাজ হল ওই তৈরি হওয়া জিনিসপত্র দোকানে দোকানে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। দোকানে ঢুকে খদ্দের যদি আমার ব্র্যান্ডটা না-ই পেল, সে কিনবে কী করে? এটা কিন্তু সোজা কাজ নয়। আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ দোকানে ওই সাবান বা টুথপেস্টের ব্র্যান্ডটা পৌঁছানোর কাজটা কোনও কোম্পানিই নিজে নিজে করতে পারে না। তাই সব কোম্পানিই প্রত্যেক শহরে কোনও এক সংস্থাকে তাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মনোনীত করে। এদের বলা হয় ডিস্ট্রিবিউটর। বড় বড় শহরে অনেক কোম্পানি একের বেশি ডিস্ট্রিবিউটর রাখেন। প্রত্যেক ডিস্ট্রিবিউটরের দায়িত্ব হল, একটা নির্দিষ্ট ভৌগোলিক
অঞ্চলের সব দোকানে ওই কোম্পানির মাল পৌঁছে দেওয়া।
আমাদের দেশটা এত বড় যে, এই ডিস্ট্রিবিউটররাও তাঁদের অঞ্চলের সব দোকানে নিজেরা মাল পৌঁছাতে পারেন না, তাই তাঁরা সাহায্য নেন তাঁদের চেয়ে ছোট আরও কিছু সংস্থার। এদের বলা হোলসেলার বা স্টকিস্ট। এই যে মাল যাচ্ছে কোম্পানির ফ্যাক্টরি থেকে ডিস্ট্রিবিউটর, ডিস্ট্রিবিউটর থেকে হোলসেলার, আর হোলসেলার থেকে দোকানদার এর সবটাই কিন্তু কেনা-বেচা হচ্ছে। মানে, এ রকম নয় যে দশ প্যাকেট সাবান রাখুন দোকানে, যেমন যেমন বিক্রি হবে, আমায় টাকা পাঠিয়ে দেবেন। অনেক নতুন কোম্পানিকে অবশ্য এ রকম করতে হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ডিস্ট্রিবিউটর দাম দিয়ে কোম্পানি থেকে সাবান কিনে নেন, হোলসেলারও দাম দিয়ে কেনেন ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে, দোকানদার কেনেন হোলসেলারের কাছ থেকে, আর দোকানদার থেকে কিনি আমরা। প্রত্যেকেই কিন্তু যে যার মতো কিছুটা লাভ রেখে বিক্রি করেন। না হলে আর তাঁদের ব্যবসাটা চলবে কী করে।
দোকানে দোকানে কোম্পানির ব্র্যান্ড পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু খদ্দেরদের সেগুলো কেনার ইচ্ছে হবে তো? সেই ইচ্ছে তৈরি করাটা হল মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টের আর এক কাজ। তার জন্য করা হয় বিজ্ঞাপন কাগজে, পত্রিকায়, টিভি-তে, রাস্তার ধারের হোর্ডিংয়ে, এমনকি দোকানের ভেতরেও। এই ইচ্ছে তৈরির আর একটা অস্ত্র হল প্যাকেটটা। প্যাকেটের অবশ্য এমনিতেই অনেক কার্যকারিতা আছে, যেমন প্রোডাক্টের গুণাগুণ নষ্ট হতে না দেওয়া, রান্নাঘরে বা বাথরুমে রাখতে সাহায্য করা। কিন্তু এ সব ছাড়াও এক একটি প্যাকেট তার ভেতরের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপনও। বিজ্ঞাপন তৈরির কাজটা চটকদার, কিন্তু খুব জটিল।
বিজ্ঞাপন নিয়ে তিনটে প্রশ্নের উত্তর ভাবা খুব জরুরি।
(১) ব্র্যান্ড সম্বন্ধে কী বলব? সাবানটা অনেক দিন চলে? না বলব যে, ধোনি এটা খেলার পর স্নানের সময় মাখেন?
(২) কী ভাবে বলব মানে, হেসে হেসে, না গম্ভীর ভাবে?
(৩) কোথায় বলব? যেমন, টিভি-তে, না কাগজে? এই প্রশ্নগুলো নিয়ে ভাবার সময় কোনটাতে খদ্দেরদের কেনার ইচ্ছে তৈরি হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি হবে, সেটাই একমাত্র বিবেচ্য থাকে।
এটাও মনে রাখা দরকার যে, অনেক সময়ই খদ্দেরদের সংখ্যা থাকে কোটিতে। আর তাদের সবার পছন্দ একই রকম না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ইচ্ছে তৈরির নিশ্চয়তা বাড়াতে তাই মাঝে মাঝেই কোম্পানিরা নানা রকমের লোভ দেখান। এগুলোর নাম ‘প্রোমোশন’। এর ফলেই আমরা দেখি, কেউ বলছে সাবান কিনলে শ্যাম্পু ফ্রি, বা কেউ ডাকছে: আসুন আসুন, দুটো কিনলে পুরীতে একদম তিন দিন বিনে পয়সায়।
এ সব তো হল। কিন্তু টাকা-পয়সার হিসেব রাখা, ঠিক সময়ে বাজার থেকে টাকা আদায় করে ব্যাঙ্কে জমা করা, কাঁচামাল কেনার টাকাটার জোগাড় করা, অমিতাভ বচ্চনকে বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করার জন্য ফি-এর টাকাটার ব্যবস্থা করা এ সব কে করবে? তাই, জিনিস তৈরি আর জিনিস বেচা’কে সাহায্য করতে ম্যানেজমেন্টের আরও একটা দিক আছে, তার নাম ফিনানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট বা আর্থিক ব্যবস্থাপনা। এর কাজ কিন্তু খালি টাকাপয়সার হিসেব রাখা নয়, টাকাপয়সার সদ্ব্যবহার করা। বাজে খরচ যাতে না হয়, তার দিকে নজর রাখা। ব্যাঙ্কে অব্যবহৃত টাকা যাতে সুদ আয় করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা। আবার অন্য দিকে, স্বল্প সময়ের জন্য বেশি টাকার দরকার হলে ব্যাঙ্ক বা অন্য জায়গা থেকে সুবিধাজনক সুদে টাকা ধার করা। এই সবই কিন্তু আর্থিক ব্যবস্থাপনার অংশ এবং দায়িত্ব। তাই প্রোডাকশন আর মার্কেটিংয়ের মতো ফাইনান্সও ম্যানেজমেন্টের এক প্রধান স্তম্ভ।
এতক্ষণে একটা কথা বলার সময় এসেছে। এই যে ম্যানেজমেন্টের তিনটে দিক নিয়ে আমরা কথা বলেছি সেগুলি অনেকাংশে স্বাধীন ভাবে কাজ করলেও অনেক ক্ষেত্রেই এই তিন দলকে এক টেবিলে বসে আলোচনা করতে হয়। যেমন, ব্র্যান্ডের দাম ঠিক করা। দাম বাঁধতে প্রথমে তো একটা খরচের আন্দাজ লাগবে। প্রোডাকশন বলবে তৈরি করার খরচের কথা, মার্কেটিং জানাবে বিজ্ঞাপনের বাজেট কত। এর পর ফিনান্স অঙ্ক কষে অন্য খরচ ধরে, তার ওপর লাভ বসিয়ে বলবে এক প্যাকেট সাবান বা এক বোতল শ্যাম্পুর এত দাম হওয়া উচিত। মজাটা এ বার শুরু হয়। মার্কেটিং বিভাগ সাধারণত হইহই করে ওঠে এত দাম হলে আমরা বেচব কী করে? ফিনান্স বলে: আহা, বিজ্ঞাপনের খরচটা একটু কমাও না, তা হলেই তো দাম কমানো যাবে। মার্কেটিং-এর লোকেরা রেগেমেগে বলে: খরচ কমানোর দায় কি আমাদের একার? প্রোডাকশন কাঁচা মাল শস্তায় কিনতে পারে না? ব্যস, এই নিয়ে মিটিংয়ের পর মিটিং চলে। শেষ পর্যন্ত বড় সাহেবদের মধ্যস্থতায় একটা মিটমাট করে দাম ঠিক হয়।
এ বার আসি ম্যানেজমেন্টের শেষ কথায়। যদি কোনও ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে বা কোনও বড় ব্যবসার মালিককে প্রশ্ন করা হয় যে, তাঁর কোম্পানির সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ কোনটা প্রযুক্তি, আর্থিক বল, না ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তা? তাঁর উত্তর খুব সম্ভবত হবে কোনওটাই নয়। যে কোনও কোম্পানির সবচেয়ে বড় সম্পদ হল সেই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা, সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা হল সেই প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ। স্বভাবতই কর্মীদের ভালমন্দ দেখা যে কোনও কোম্পানির ম্যানেজমেন্টের প্রধান দায়িত্ব। ম্যানেজমেন্টের এই শাখার নাম পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট। ঠিক জায়গার জন্য ঠিক লোককে কোম্পানিতে আনা থেকে শুরু করে অবসর নেওয়ার দিনে গায়ে শাল জড়িয়ে দেওয়া পর্যন্ত সব পর্যায়ের সব কর্মীদের দেখাশোনার দায়িত্ব এই মানব সম্পদ ব্যবস্থাপকদের। এঁরা যেমন বছরের শেষে মাইনে বাড়ার ব্যবস্থাপনার কাজে মাথা ঘামান, তেমনই ব্যস্ত থাকেন কর্মীদের রিক্রিয়েশনের জন্য নানাবিধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করার ক্ষেত্রেও। কারণ, সব মিলিয়ে ওঁদের দায়িত্বটা গুরু কোম্পানির সবার মধ্যে একাত্মতা আনা।
ব্যবস্থাপক বা ম্যানেজাররা কিন্তু ম্যানেজমেন্টের এক-একটা দিক নিয়ে স্পেশালাইজ করেন। সাধারণত প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্টের লোকেদের কারিগরি বিদ্যা থাকলে ভাল হয়। ফিনান্সের লোকেদের দরকার অর্থনীতি, আইন, হিসেব রাখার দক্ষতা ইত্যাদি। হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের লোকেদের অনেক ক্ষেত্রেই শ্রম আইন জাতীয় বিষয় জানতে হয়। কিন্তু ওঁদের যে গুণটা সবচেয়ে বেশি লাগে, তা হল সহমর্মিতা। কোম্পানির সবাইকে দেখাশোনা করতে হয় যে। আর মার্কেটিংয়ের লোকেদের সবচেয়ে বেশি শিখতে হয় খদ্দেরদের মন বোঝা। ফলে, ম্যানেজমেন্ট কোর্সে অঙ্ক থেকে ইতিহাস নানান বিষয় পড়ানো হয়। ম্যানেজমেন্ট-এ অনেক কিছুই শেখার দরকার হয়। তবে এটাও মনে রাখা দরকার যে, ডাক্তারি পড়লেই যেমন ভাল ডাক্তার হওয়া যায় না, তেমনই ভাল ম্যানেজার হতে গেলে এম বি এ করার পর চাকরিতে হাতেকলমে অনেক কিছু নতুন করে শিখতে হয়। এই হল ম্যানেজমেন্টের ধরণ-ধারণ। এ বার তোমরাই ভেবে দেখো যে, পাড়ার বালক সংঘ চালানো বা পুজোর সময় রোলের দোকান দেওয়ার থেকে এই ম্যানেজমেন্টটা কতটা আলাদা। |
|
|
|
|
|