|
|
|
|
ধর্মসভা ও রাজনীতির যোগ নেই, জানালেন দলাই-সঙ্গী |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
বিশ্ব বৌদ্ধ সম্মেলনে দলাই লামার বক্তৃতার বিষয়টি নিয়ে মতবিরোধের জেরে আপাতত বাতিল হয়ে গিয়েছে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক আলোচনা। কিন্তু তিব্বতি ধর্মগুরুর ঘনিষ্ট সহযোগী টেম্পা সেরিং জানিয়েছেন, এটি ‘পুরোপুরি ধর্মীয়’ অনুষ্ঠান। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
রবিবার দিল্লিতে শুরু হয়েছে চার দিনের বিশ্ব বৌদ্ধ সম্মেলন। সেখানে বক্তৃতা দেওয়ার কথা দলাই লামার। এই বিষয়েই আপত্তি জানিয়েছে বেজিং। কিন্তু টেম্পা সেরিং বলেন, “এই রকম একটি ধর্মীয় সম্মলেনকে কোনও ব্যক্তি বা দেশের রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা উচিত নয়।
ধর্মীয় নেতা বা প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করা ছাড়া দলাই লামার এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আর কোনও উদ্দেশ্য নেই।”
টেম্পা যাই বলুন, চিন বিষয়টি এত সহজে ছেড়ে দিতে রাজি নয়। সীমান্ত সমস্যা নিয়ে সোমবার নয়াদিল্লিতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেননের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল চিনা প্রতিনিধি দাই বিনগুয়োর। বেজিং প্রথমে দলাইয়ের বক্তৃতা বাতিল করতে বলেছিল দিল্লিকে। তাতে কাজ না হওয়ায় সম্মেলনই বাতিল করতে বলে তারা। কিন্তু নয়াদিল্লির তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে বাক্স্বাধীনতায় বিধিনিষেধ আরোপ করা সম্ভব নয়। এরই পাল্টা হিসেবে বেজিংও জানিয়ে দেয়, তা হলে তাদের পক্ষেও সোমবারে বৈঠক করা সম্ভব নয়। তবে সেরিং জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী দলাই লামা সম্মেলনে যোগ দেবেন। বুধবার অংশগ্রহণ করবেন বৌদ্ধ নেতাদের সভাতে। বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দলাই লামাও আজ লিখিত ভাবে এই সম্মেলনের প্রশংসা করেছেন। তবে ভারত ও চিনের চাপানউতোর নিয়ে কিছু লেখেননি তিব্বতি ধর্মগুরু। আজ এই বিশ্ব বৌদ্ধ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাজ্য সভার সাংসদ তথা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর)-এর চেয়ারম্যান কর্ণ সিংহ। গোটা বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি। তাঁর কথায়, “এটা আর নতুন কী? গত ৫০ বছর ধরেই তো দলাই লামা বিভিন্ন সভা-সম্মেলনে বক্তৃতা দিচ্ছেন।” |
|
|
|
|
|