শুধু স্থানীয়রাই নন বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালের উপরে নির্ভর করেন বর্ধমানের কেতুগ্রাম আর বীরভূমের একটা বড় অংশের মানুষ। তবে অভিযোগ, শীতকালে দরকারে একটা চাদর বা কম্বল চাইলে পাওয়া যায় না। অগত্যা বাড়ি থেকেই চাদর-কম্বল নিয়ে আসেন রোগীরা। আর বিছানায় পাতা চাদর তো মাসে এক বারও পাল্টানো হয় না বলে জানালেন হাসপাতালের রোগীরা। ৩০ শয্যার এই হাসপাতালে অনেক সময়ই জায়গার অভাবে রোগীর ঠাঁই হয় ওয়ার্ডের বাইরের মেঝেতে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৩০টি শয্যা থাকলেও সম্বল মাত্র ২২টা কম্বল। রয়েছে ২০টা চাদর। বড়ঞার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তারকনাথ প্রামাণিকের সাফাই, “চাদর কম্বল খুব কম আছে। রোগী অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অপরিষ্কার বিছানায় টেঁকাই দায় হচ্ছে বলে জানালেন রোগীরা। তারকবাবু বললেন, “হাসপাতালে সাফাই কর্মীর অভাব আছে। তবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব। বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কোনও লাভ হয়নি।” বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের কৃষ্ণেন্দর রায় বলেন, “রোগী কল্যাণ সমিতির তরফে চাদর পরিষ্কার করার টাকা দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। তবে কম্বল কেন দেওয়া হচ্ছে না তা খতিয়ে দেখব।”
|
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৪৭টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ১০ শয্যায় এবং গ্রামীণ হাসপাতালগুলিকে ৩০ শয্যায় উন্নীত করা হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাঁথিতে জেলা পরিষদের মনিটরিং কমিটির এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, জেলা সভাধিপতি গান্ধী হাজরা, সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শেখ সুফিয়ান-সহ জেলা পরিষদের অন্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এখন জেলার ১৪টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। পাশাপাশি আরও ৭টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র উন্নীতকরণের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। বৈঠকে ঠিক হয় যে সব ঠিকাদার এখনও কাজ শুরু করেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন জানান, গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল প্রকল্পে জেলায় ৪টি সেতু নির্মাণের পাশাপাশি যে সব রাস্তাঘাট তৈরির কাজ চলছে, তা আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
|
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘দুষ্কৃতীদের’ হামলা বন্ধ করার দাবি তুললেন চিকিৎসকেরা। শুক্রবার এই দাবিতে বাঁকুড়ার চিকিৎসকেরা জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেন। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ও বাঁকুড়া জেলা নার্সিংহোম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে প্রতিবাদ জানাল। মুখে কাপড় বেঁধে তাঁরা শহরে মৌন মিছিল করেন। চিকিৎসক তথা শহরের একটি নার্সিংহোমের মালিক সুভাষ সরকার বলেন, “এখন কিছু হলেই লোকজন চিকিৎসকদের মারধর করছেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর চড়াও হচ্ছেন। সরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমে ভাঙচুর করা হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি জানান, কোনও অভিযোগ থাকলে তাঁরা আইনের সাহায্য নিতে পারেন। তাঁরা চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই ধরমের হামলা বন্ধ করার ব্যাপারে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে অনুরোধ জানিয়েছেন। জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি বলেন, “তাঁদের দাবিগুলি বিবেচনা করা হবে।” গত ১৭ নভেম্বর বাঁকুড়া শহরের প্রতাপবাগানে একটি নার্সিংহোমে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে চিকিৎসক অশোক সাহাকে মারধর করা হয় ও নার্সিংহোমে ভাঙচুর করা হয়। সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে পুলিশ নার্সিংহোম মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছিল।
|
আমলোকা তৃণমূলের উদ্যোগে বিনা খরচে চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয় শুক্রবার। আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মলয় মিশ্র জানান, ১৭০ জনের চক্ষু পরীক্ষা করা হয়। ২৮ জনের চোখে বিনা খরচে অস্ত্রোপচার করা হবে। |