নিজস্ব সংবাদদাতা • কল্যাণী |
আচমকা পরিদর্শনে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি দেখে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করলেন নদিয়ার জেলাশাসক অভিনব চন্দ। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার কল্যাণীতে মহকুমাশাসকের দফতরে উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিয়ে একটি বৈঠকের পরে জেলাশাসক ওই হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। খরচ না বাড়িয়ে কী করে হাসপাতালের উন্নয়ন করা যায় তা নিয়ে তার আগেই মহকুমাশাসক এবং রোগী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে তাঁর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। এ বার তা নিয়েই আলোচনার পরে তিনি সোজাসুজি হাসপাতাল পরিদর্শন করতে চলে যান। সেখানে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে রোগী ও রোগীর আত্মীয়স্বজন, সকলের সঙ্গেই কথা বলেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক শ্রীকুমার চক্রবর্তী এবং অশোক সাহা ও মহকুমাশাসক শৈবাল চক্রবর্তী।
জেলাশাসক বলেন, “রোগী ও রোগীর পরিবারের লোকজনেরা আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন যে, তাঁরা ঠিকমতো ওষুধ পর্যন্ত পান না। বিভিন্ন পরীক্ষা হাসপাতালের মধ্যে করা যায় না। পরীক্ষা করতে যেতে হয় হাসপাতালের বাইরে। এমনকী পরিদর্শনের সময় শিশু বিভাগে বেড়ালও ঘুরে বেড়াতে দেখেছি। সে ক্ষেত্রে যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।” তিনি বলেন, “সদ্যোজাত শিশুদের বাবা-মায়েদের কাছ থেকে আয়ারা মোটা টাকা দাবি করেন বলেও অনেকে আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। অথচ সেখানে আয়া থাকারই কথা নয়।” তাঁর কথায়, “হাসপাতাল অত্যন্ত অপরিষ্কার। আমরা এ সব বরদাস্ত করব না। আমরা রিপোর্ট তৈরি করছি। প্রয়োজন হলে কয়েকজনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
হাসপাতালের সুপার নিরুপম বিশ্বাস বলেন, “জেলাশাসক সরেজমিন সবই দেখে গিয়েছেন। এ বার প্রশাসন যে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেবেন, সেই অনুযায়ী কাজ হবে।” জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিত হালদার বলেন, “আমরা চাই রোগীরা হাসপাতালে এসে ঠিক মতো পরিষেবা পান। সে ক্ষেত্রে যদি কোথাও কোনও ঘাটতি থেকে থাকে, সে ব্যাপারে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনের সঙ্গে প্রয়োজনে আমরা তা নিয়ে আলোচনাতেও বসব।” |