|
|
|
|
সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন পুলিশ ফের বোঝাবে মমতাকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নটিকে ফের সামনে এনে দিল কিষেণজির মৃত্যু।
জঙ্গলমহলে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাওবাদী নেতা কিষেণজি নিহত হওয়ার পরে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে নাড়াচাড়া পড়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে মাওবাদী অধ্যুষিত ন’টি রাজ্যের পুলিশ প্রধানদের কাছে জরুরি বার্তাগিয়েছে। তাতে সংশ্লিষ্ট ডিজি-দের কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, কিষেণজির মৃত্যুর প্রেক্ষিতে যে কোনও রকম ‘প্রত্যাঘাত’-এর আশঙ্কা রয়েছে। রাজ্যগুলোকে তাই ‘চরম সতর্কতা’ অবলম্বন করতে হবে।
আর এই পরিস্থিতিতে পুলিশের চিন্তা ফের বেড়েছে মমতার নিরাপত্তাকে ঘিরে।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই মমতার জন্য ‘জেড প্লাস’ ক্যাটেগরির সুরক্ষা-ব্যবস্থা বরাদ্দ। কিন্তু আজ পর্যন্ত তিনি তা নেননি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকেও মমতার নিরাপত্তা নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরকে তারা বলেছে মমতাকে উপযুক্ত নিরাপত্তা নিতে রাজি করাতে। কিন্তু তৃণমূলনেত্রী কারও কোনও কথা মানতে চাননি। তাই এখনও ‘মুখ্যমন্ত্রী’ মমতার কনভয় যাওয়ার সময়ে সামনে ‘পাইলট’ থাকে না। এমনকী, তাঁর ছোট গাড়ি ঘিরে নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়িগুলো ‘বক্স’ করে চলে না। সেগুলো থাকে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির পিছনে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী এ সব চান না। আমজনতার মতো তাঁর গাড়িও ট্র্যাফিক সিগন্যাল মেনে চলে। সিগন্যালে দাঁড়ায়। শুধু তা-ই নয়, চলার পথে গাড়িতে বসে জানলার কাচ নামিয়ে পথচলতি মানুষের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করাটাও মুখ্যমন্ত্রীর দস্তুর।
নিরাপত্তার নিরিখে পুলিশের কাছে এর প্রতিটিই যথেষ্ট ঝুঁকির। তবু পুলিশকর্তারা নানা ভাবে প্রস্তাব দিয়েও অবস্থা বদলাতে পারেননি। আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির কিছুটা আগে সাদা পোশাকের নিরাপত্তারক্ষীদের একটা অ্যাম্বাস্যাডর থাকে। মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব নিরাপত্তায় পুলিশের সঙ্গে মোতায়েন থাকে রেল-সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ)।
বৃহস্পতিবার কিষেণজির মৃত্যু এবং তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় হুঁশিয়ারি ঘিরে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা সম্পর্কে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা শুরু করেছে। মহাকরণের খবর: আজ, শুক্রবার মমতা দিল্লি থেকে ফিরলে তাঁকে বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে ‘প্রয়োজনীয়’ নিরাপত্তা নিতে ফের অনুরোধ করা হবে।
তাতেও যদি তিনি রাজি না হন? রাজ্য পুলিশের এক কর্তা বলেন, “আশা করছি, উনি আমাদের কথা বুঝবেন।”
অনেক প্রবীণ পুলিশ অফিসার পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টান্তও তুলছেন। ওঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও গোড়ার দিকে নিরাপত্তাবেষ্টিত হয়ে চলাফেরা করতে চাইতেন না। পরে পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুযায়ী খুব ধীরে ধীরে তাঁর নিরাপত্তা বলয় বাড়ানো হয়েছিল বলে তাঁরা জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|