আরও পাঁচ-ছয় বছর তিনি চুটিয়ে খেলতে পারবেন বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। যখন তাঁর ক্রিকেটজীবনের উপর একটা প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, তখনই হরভজন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, “আরও পাঁচ-ছ’ বছরের ক্রিকেট আছে আমার মধ্যে। পিকচার আভি বাকি হ্যায়।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজে রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং প্রজ্ঞান ওঝা-র পারফরম্যান্স হরভজনের অস্ট্রেলিয়া সফর রীতিমতো অনিশ্চিত করে তুলেছে। অনেকেই মনে করছেন, ভারতীয় দলে হরভজনের ফিরে আসা যথেষ্ট কঠিন। যা শুনে হরভজন বলছেন, “নিজেদের মধ্যে লড়াই তো দলের জন্য সব সময় ভাল। লড়াইকে ভয় পাই না। যদি পেতাম, তা হলে ১৩ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারতাম না। নিজেদের মধ্যে লড়াই না থাকলে খেলার মানের উন্নতি হয় না।”
|
ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিং টিপ্স দ্রাবিড়ের। বৃহস্পতিবার ওয়াংখেড়েতে। ছবি: উৎপল সরকার |
হরভজন নিজে মনে করেন, অস্ট্রেলিয়া সফরে তাঁকে সহজে উপেক্ষা করতে পারবেন না নির্বাচকেরা। “আমি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলাটা সব সময় উপভোগ করি। ওরা সব সময় খুব আক্রমণাত্মক। তাই ওদের সঙ্গে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে হয়। না হলে ওরা মাথায় চেপে বসবে। আমার এখনও ২০০১ সালের ওই ঐতিহাসিক সিরিজটা মনে পড়ে। যে বার আমি ৩২টা উইকেট পেয়েছিলাম। আর প্রচারমাধ্যম আমাকে ‘টার্বুনেটর’ নাম দিয়েছিল,” বলেছেন তিনি। একই সঙ্গে হরভজন মনে করিয়ে দিচ্ছেন, “আমার কাজ হল ক্রিকেট খেলা। সেটাই মন দিয়ে করতে চাই। দলে সুযোগ পাব কি না, তা নিয়ে ভাবছি না।”
শুধু নিজের ব্যাপারেই নয়। সচিন তেন্ডুলকরকে নিয়েও বলেছেন হরভজন। তাঁর প্রার্থনা, মুম্বইয়েই যেন শততম সেঞ্চুরিটা পেয়ে যান সচিন। হরভজন বলেছেন, “প্রার্থনা করছি সচিন যেন মুম্বইয়ে সেঞ্চুরিটা করে দেয়। ও ছাড়া কেউ এই রেকর্ডের যোগ্য নয়। ঘরের মাঠে এই রেকর্ড করার চেয়ে ভাল কি হতে পারে?”
নতুন করে উঠে এসেছে গ্রেগ চ্যাপেলের প্রসঙ্গও। হরভজনের কথায়, “ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম খারাপ সময় ছিল ওটা। চ্যাপেল টিমটাকে টুকরো টুকরো করে দিয়েছিল। সচিন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগত, আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম। আমাকে বলা হত, যদি পাঁচ উইকেট নিতে পার, তা হলেই পরের ম্যাচে খেলবে।”
|