|
|
|
|
৩০ দিনের জন্য প্রধান নিযুক্ত হলেন মাধবপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
মাস সাতেক ধরে চলা অচলাবস্থা কাটতে চলেছে আরামবাগের মাধবপুর পঞ্চায়েতে। বৃহস্পতিবার ওই পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য গিয়াসুদ্দিন খানকে ৩০ দিনের জন্য প্রধান হিসাবে নিয়োগ করলেন আরামবাগের বিডিও মৃণালকান্তি গুঁই। তাঁকে নিয়োগপত্রও পাঠানো হয়েছে। আজ, শুক্রবার থেকেই প্রধান হিসাবে তাঁর কাজ শুরু করার কথা।
বিডিও বলেন, “পঞ্চায়েত আইনের ৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী গিয়াসুদ্দিন খানকে ৩০ দিনের জন্য প্রধান করা হয়েছে। ডিসেম্বরের ৭ তারিখে সদস্যদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। সেখানেই স্থায়ী ভাবে প্রধান নির্বাচনের বিষয়টি আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”
মাধবপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের শেখ মুজিবর রহমান ১০০ দিনের প্রকল্পে রাস্তা তৈরি নিয়ে আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে মাস চারেকের উপরে ফেরার। তৃণমূলের ক্ষোভ-বিক্ষোভে পঞ্চায়েতের কাজ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল তারও মাস তিনেক আগে থেকে। প্রধান না থাকায় বিডিও উপপ্রধান সিপিআইয়ের সুস্মিতা দে’কে সেই দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। পদ্ধতিগত ত্রুটির উল্লেখ করে উপপ্রধান সেই দায়িত্ব নেননি। বিডিও তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়ে ৯ নভেম্বরের মধ্যে ব্যাখ্যা চান। উপপ্রধান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সে ব্যাপারে উত্তর দেননি। গত ৮ নভেম্বর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। চিঠিতে তিনি ‘পারিপার্শ্বিক চাপ আর নিতে না-পারা এবং অসুস্থতা ও পারিবারিক সমস্যা’র কথা জানান। সেই পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। উপপ্রধান অবশ্য সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেননি।
এ দিকে, গত সাত মাস ধরে পঞ্চায়েতের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। খালি শংসাপত্র দেওয়ার পরিষেবাটি উপপ্রধান পদত্যাগ করার আগে পর্যন্ত চালু রেখেছিলেন। এলাকার মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভের আঁচ পড়ছিল ব্লক প্রশাসনের উপরে। অবশেষে ৩০ দিনের জন্য প্রশাসন এক জনকে প্রধান হিসাবে নিয়োগ করায় গ্রামবাসীদের আশা, এ বার উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।
গিয়াসুদ্দিন বলেন, “আশা করছি উন্নয়নের কাজে বাধা আসবে না। স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতার সঙ্গে আমি কাজ করি। সে কথা সকলেই জানেন।” তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রণজিৎ রায় বলেন, “আমরা প্রথম থেকে পঞ্চায়েতের কাজে সহযোগিতাই করতে চাইছি। তবে, আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে। গিয়াসুদ্দিন চাইলে তাঁকে সর্বতো ভাবে সাহায্য করা হবে।” |
|
|
|
|
|