|
|
|
|
ধনেখালির শিশু উদ্ধার বিহার থেকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধনেখালি |
ধনেখালি থেকে অপহৃত এক শিশুকে বিহারের চম্পারণ থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। অপহরণে যুক্ত এক দুষ্কৃতীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সুশোভন মুদি নামে বছর খানেকের ওই শিশুকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
হুগলির পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে এই ক্ষেত্রে পুলিশ কাজ করেছে। দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ ওই দলে যাঁরা ছিলেন, প্রত্যেককে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, ধনেখালির রুদ্রাণী গ্রামের বাসিন্দা ওই শিশুটি। তার বাবার নাম দীপক মুদি। দীপকবাবুর স্ত্রী পেশায় নৃত্যশিল্পী। সেই সূত্রের বিহারের চম্পারণ এলাকার বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র গিরির সঙ্গে তাঁদের আলাপ। ধর্মেন্দ্র মাঝেমধ্যেই ধনেখালিতে আসত। গত ২২ তারিখ তিনি দীপকবাবুর বাড়িতে এসে ছিল। হঠাৎই দীপকের একরত্তি ছেলেটিকে নিয়ে উধাও হয়ে যায় ওই ব্যক্তি। দীপকের ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ডও হাতিয়ে নেয় সে।
পরে টেলিফোনে দীপককের এটিএমের পিন নম্বর জানতে চায়। কিছু টাকাও ব্যাঙ্কে ফেলে দিতে বলে। টাকা দিলে ছেলেকে ফিরিয়ে দেবে বলে আশ্বাস দেয়। ছেলের মুখ চেয়ে বাধ্য হয়ে দীপকবাবু কিছু টাকা ফেলেও দেন ওই অ্যাকাউন্টে। |
|
সুশোভনের ছবি পারিবারিক অ্যালবাম থেকে। |
কিন্তু এরপরেও ছেলেকে ফিরে পাননি তিনি। আরও বেশি টাকার দাবি করে ফোন করতে থাকে ধর্মেন্দ্র। দীপকবাবু যোগাযোগ করেন পুলিশের সঙ্গে। ধনেখালি থানার অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়েই ধনেখালি থানার চার পুলিশকে নিয়ে একটি টিম তৈরি করা হয়। তারপর হুগলি পুলিশ বিহারের চম্পারণে পাড়ি দেয়। স্থানীয় পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, চম্পারনের সাতি নামে একটি গ্রামে ওই শিশুটিকে রাখা হয়েছিল। ধনেখালি থানার পুলিশ বিহার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালায় ওই গ্রামে। ধর্মেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে।
হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশেষ বিশ্বাস বলেন, “শিশুটিকে শুধুমাত্র টাকার জন্যই অপহরণ করা হয়েছিল, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।” |
|
|
|
|
|