রাজধানীর দেরি ১৩ ঘণ্টা,
খাবারের অভাবে বিক্ষোভ
কেই কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে ট্রেন চলাচল। ট্রেন ছাড়ল নির্দিষ্ট সময়ের আট ঘণ্টা পরে। রাস্তায় তা বেড়ে হল ১৩ ঘণ্টা। যাত্রীরা এমনিতেই তেতে ছিলেন। তাতে ঘি পড়ল খাবার না-পেয়ে। ডাউন শিয়ালদহমুখী রাজধানী এক্সপ্রেসের যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখালেন ট্রেনের মধ্যেই।
শিয়ালদহ থেকে মঙ্গলবার যে-রাজধানী এক্সপ্রেস ছেড়েছিল, সেটি দিল্লি পৌঁছেছে আট ঘণ্টা দেরিতে। ফিরতি পথে দিল্লি থেকে রাজধানী এক্সপ্রেস ছাড়ে আট ঘণ্টা দেরি করে। বিকেল সাড়ে ৪টের বদলে রাত ১টায়। এই বিলম্ব যাত্রীরা মেনেও নিয়েছিলেন। কিন্তু রেলের কাছ থেকে যথেষ্ট খাবার না-পাওয়ায় তাঁদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়।
যাত্রীদের অভিযোগ, সকালে চেয়েও চা মেলেনি। ট্রেন দেরিতে চলায় যাত্রীরা বাড়তি জল চেয়েছিলেন। তার জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে। ডাল, ভাত আর আলু-মটর ছাড়া দুপুরে আর কিছুই জোটেনি। বিকেলের টিফিনে মাত্র দু’পিস জ্যাম-পাউরুটি আর দু’টো বিস্কুট। সৌমিতা দত্ত নামে ওই ট্রেনের বাতানুকূল দ্বিতীয় শ্রেণির এক যাত্রী বলেন, “সকাল থেকে এক কাপ চা-ও ঠিকমতো সরবরাহ করা হয়নি যাত্রীদের। এক বোতল অতিরিক্ত জলের জন্যও দাম নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর মতো ট্রেনে এত টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছি আমরা। রেল আমাদের জন্য ভাববে না কেন?”
রেল সূত্রে বলা হয়, সাধারণত বিকেলে দিল্লি থেকে ছেড়ে রাজধানী এক্সপ্রেস পরের দিন সকাল সাড়ে ১০টাতেই শিয়ালদহে পৌঁছে যায়। ফলে ট্রেনে বিকেলের টিফিন, রাতের খাবার আর পরের দিন প্রাতরাশ সরবরাহ করার কথা। রাজধানী এক্সপ্রেসে দু’টি প্যান্ট্রিকার থাকে। সেখানে প্রায় ১২০০ যাত্রীর রান্না করা সম্ভব নয়। ফলে খাবার আনতে হয় অন্য কেটারিং সার্ভিস থেকে। তাদের আগে থেকে বরাত দিতে হয়। কিন্তু ট্রেনের অস্বাভাবিক দেরিতে সব ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। যে-সংস্থাটি রাজধানী এক্সপ্রেসে খাবার সরবরাহ করে, তাদের বক্তব্য, ট্রেনের যাত্রাপথের সময় বাড়তে থাকায় যাত্রীদের নির্ধারিত মেনু অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করা যায়নি।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, প্রতি বছরই এই সময় কুয়াশায় ট্রেন দেরি করে। তা হলে রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয় না কেন? যাত্রীদের বক্তব্য, টিকিটের সঙ্গেই তো খাবারের টাকা কেটে নেয় রেল। সুতরাং যাত্রীদের পরিষেবা দেওয়াটা রেলেরই দায়িত্ব। তা হলে ট্রেন দেরি করলে যাত্রীদের ঠিকঠাক খাবার দেওয়া হবে না কেন?


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.