অবশেষে রেহাই। ১০.৬৩% থেকে এক ঝটকায় ৯.০১ শতাংশে নেমে এল খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। আর, সেটাই বৃহস্পতিবার সেনসেক্সের উত্থানের পিছনেও অন্যতম কারণ বলে বাজার সূত্রের খবর। অন্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে: দেশের বাজারে বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলির লগ্নির ঝাঁপি নিয়ে ফিরে আসা ও আর্থিক সঙ্কট মেটার আশায় ইউরোপের বাজারে চাঙ্গা ভাব। মুম্বই বাজারের সূচক ১৫৮ অঙ্ক বেড়ে এ দিন ছুঁয়েছে ১৫,৮৫৮.৪৯ অঙ্ক। সার্বিক ভাবে ডলারের চাহিদা কম থাকায় স্বস্তি ফিরেছে টাকার দাম নিয়েও। টানা ৮ দিন পড়ার পর ডলারে টাকার দাম বৃহস্পতিবার বেড়েছে ২৯ পয়সা। ফলে দিনের শেষে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৫২.০৬/০৭ টাকা।
আমজনতাকে কিছুটা স্বস্তি জুগিয়ে গত ২৩ জুলাইয়ের পর চার মাসে সর্বনিম্ন মূল্যবৃদ্ধির হার। ওই সপ্তাহে তা ছিল ৮.৪৩ শতাংশে। গত বছর নভেম্বরের এই সময়ের হার অবশ্য ছিল ১১.৩৮%। গত ১২ নভেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহের জন্য প্রকাশিত এই হিসাবে স্পষ্টতই আশাবাদী কেন্দ্রীয় অথর্মন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মন্তব্য: “আগামী দু’সপ্তাহে এই প্রবণতা বজায় থাকলে বছর শেষে মূল্যবৃদ্ধির চাপ কিছুটা কমবে।” আলোচ্য সপ্তাহে যে সমস্ত সামগ্রীর দাম কমেছে, তার মধ্যে রয়েছে: পেঁয়াজ (প্রায় ৩৩%), আলু (৭%), গম (৩%)। |
এ দিকে, টাকার দাম ফের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পিছনে রফতানিকারীদের ডলার বিক্রি অন্যতম কারণ বলে বাজার সূত্রের খবর। লাভের কড়ি ঘরে তোলার তাগিদেই তাঁরা ডলার বিক্রি করতে থাকেন। কিছু বড় শিল্প সংস্থাও একই কারণে ডলার বিক্রি করেছে। তাই টাকার দাম এ দিন বেড়েছে ০.৫৫ শতাংশ।
স্টেট ব্যাঙ্কের গৃহঋণ নিয়ে। মেয়াদ শেষের আগে গৃহঋণ শোধ করে দিলে গ্রাহককে যে ফি দিতে হয়, তা তুলে দিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ব্যাঙ্কের কর্তা জানান, তা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এত দিন পরিবর্তনশীল সুদে নেওয়া ঋণ আগেভাগে শোধ করলে বকেয়া অঙ্কের প্রায় ২% ফি বাবদ নিত স্টেট ব্যাঙ্ক। |