দোকান থেকে জিনিসপত্র কেনাকে কেন্দ্রে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে বচসা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটল মহম্মদবাজারের সোঁতশাল এলাকায়। গুরুতর জখম অবস্থায় ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনা। এই ঘটনায় চার জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সন্ধ্যায়। সোঁতশাল মোড়ে জয়নাল আবেদিনের দোকানে বাড়ির কাজে ব্যবহৃত কিছু জিনিসপত্র কিনতে আসেন সোঁতশাল ফরিদপুরের বাসিন্দা শেখ আকবর। সেই সময় দোকানে ছিলেন জয়নালবাবুর ছেলে সামিম আখতার। জয়নালবাবুর অভিযোগ, “আকবর দোকান থেকে চুন, রং নিতে এসেছিল। টাকা পরে দেবে বলে সে চলে যেতে চাইছিল। ছেলে তাতে রাজি হয়নি। এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে আকবর ছেলেকে মারধর করে। রাতেই এ ব্যাপারে মহম্মদবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করি।” তাঁর দাবি, “বৃহস্পতিবার সকালে ছেলেকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলাম। সোঁতশাল মোড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আকবর সামিমকে আক্রমণ করে। বাঁ পায়ে আঘাত লাগায় সামিম লুটিয়ে পড়ে। ফের আঘাত করতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা আকবরকে ধরে ফেলেন।”
অন্য দিকে, আকবরের আত্মীয় শেখ আলাউদ্দিন বলেন, “বুধবার সন্ধ্যায় আকবর এবং তার ছেলে শেখ মিনারুল সামিমের দোকানে রং, চুন কিনতে গিয়েছিল। খুচরো না থাকায় আকবর সামিমকে ৫০০ টাকার নোট দেয়। সামিমের কাছেও খুচরো না থাকায় ৫০০ টাকার নোট নিতে অস্বীকার করে। তখন আকবর বলে, সে বাড়িতে জিনিস রেখে খুচরো করে দিয়ে যাবে।” তাঁর দাবি, “এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। তারই মধ্যে সামিম আকবরের ছেলেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। তার পরে আকবরও সামিমকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এ দিন সকালে আকবর বাসস্ট্যান্ডের দিকে গেলে সামিম দলবল নিয়ে তার উপরে চড়াও হয়। রড দিয়ে মারধর করে।” সামিমের বাবার দাবি, “এলাকার লোকজন আকবরকে ধরে ফেলে। তার পরে কী হয়েছে বলতে পারব না। এতে আমরা জড়িত নই। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।” |