এ বার সত্যিই শেষ হতে চলেছে সালের জমানা। দীর্ঘ ৩৩ বছর পরে আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য গত কাল চুক্তি সই করেছেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লা সালে। রিয়াধে সৌদি রাজা আবদুল্লার আল-ইয়ামামা প্রাসাদে রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং গাল্ফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের উদ্যোগে (উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলির একটি জোট সংগঠন) এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি সফল হলে সালে হবেন চতুর্থ আরব নেতা, যাঁকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হল। তবে এই চুক্তির জেরে ইয়েমেনে রাজনৈতিক অস্থিরতা কতটা দূর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে আরব দুনিয়ায়।
চুক্তির সময় বিরোধীদের সঙ্গে ‘প্রকৃত সহযোগিতার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সালে। আপাতত বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথাবার্তার জন্য রাষ্ট্রের তরফে ইয়েমেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদ্রাবু মনসুর হাদিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সালে যতই প্রতিশ্রুতি দিন, ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ওই চুক্তির বিরুদ্ধে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আজও সেখানে সরকার সমর্থিত গোষ্ঠীর সংঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ বিক্ষোভকারী। উত্তপ্ত সানার প্রতিবাদকারীরা ওই চুক্তিতে সালে এবং তাঁর পরিবারকে বিচার থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের মুখপাত্র দাবি করেছেন, রিয়াধে সই হওয়া ওই চুক্তি তাই তাঁরা মানেন না। তা ছাড়া, ওই চুক্তিতে বিক্ষোভকারীদের কথা ভাবা হয়নি। |