ভারত-বাংলাদেশ যুগ্ম নদী কমিশন আছে। এ বার বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং জল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য রাখতে ভারত-ভুটান যুগ্ম নদী কমিশন গঠন করার দাবি তুলল রাজ্য সরকার।
রাজ্যের বক্তব্য, জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের বড় এবং ছোট ৭৫টি নদীর উৎপত্তিস্থল প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভুটান। গঙ্গা ও তিস্তার জল-সমস্যা মেটানোর জন্য যেমন ভারত-বাংলাদেশ যুগ্ম নদী কমিশন রয়েছে, সেই ধাঁচে ইন্দো-ভুটান বা ভারত-ভুটান যুগ্ম নদী কমিশন গঠন করা হোক। কেন্দ্রের কাছে এই দাবি জানানো হচ্ছে বলে মঙ্গলবার মহাকরণে জানিয়েছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
এ দিন মহাকরণে রাজ্যের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশনের বৈঠক বসেছিল। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যে এই কমিশন তৈরি হয়েছে। সেচমন্ত্রী নিজেই তার চেয়ারম্যান। এ দিনের বৈঠকে কেন্দ্রীয় জল কমিশন, কেন্দ্রীয় জল গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা, গঙ্গা নিয়ন্ত্রণ কমিশনের প্রতিনিধিরা ছাড়াও রাজ্যের সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা উপস্থিত ছিলেন। সেচমন্ত্রী ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল।
দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের নদীগুলির নাব্যতা কতটা, কী ভাবে বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়, সুন্দরবন এবং মালদহ-মুর্শিদাবাদে নদীর ভাঙন-সমস্যা নিয়ে রাজ্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশন ইতিমধ্যেই একটি খসড়া রিপোর্ট তৈরি করেছে বলে জানান সেচমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওই রিপোর্টে কেন্দ্র এবং রাজ্যের নদী বিশেষজ্ঞেরা কিছু তথ্য সংযোজন করবেন। তার পরেই ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে তা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। |