|
|
|
|
হ্যানিম্যান সরণি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ ৬ কোটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
হ্যানিম্যান সরণি সংস্কারের জন্য প্রায় ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। জানালেন আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন সংস্থার (এডিডিএ) চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। শীঘ্র কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
শিল্পাঞ্চলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার সংস্কারের দাবিতে বাসিন্দারা বার বার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ২০১০ সালের শেষের দিকে দুর্গাপুর পুরসভা রাস্তাটি কেন্দ্রীয় জহরলাল নেহেরু আরবান রিনিউয়াল মিশনের আওতায় চার লেন করার জন্য ৬৪ কোটি টাকার প্রকল্প জমা দেয় কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে। কিন্তু সেই প্রকল্প আজও দফতরের ছাড়পত্র পায়নি। |
|
দুর্গাপুরের আমবাগান কেবিন সংলগ্ন এলাকায় হ্যানিম্যান সরণির ছবিটি তুলেছেন বিশ্বনাথ মশান। |
গ্যামন ব্রিজ মোড় থেকে শুরু করে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তাটি শেষ হয়েছে মায়াবাজারে। রাতুরিয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুকের প্রধান রাস্তাটির দু’পাশে রাজ্য সরকারি দুর্গাপুর কেমিক্যালস লিমিটেড (ডিসিএল), কেন্দ্রীয় সরকারি দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন (ডিটিপিএস)-সহ প্রায় ৩০টি বেসরকারি কারখানা গড়ে উঠেছে। কারখানার ভারি লরি, মিনিবাস এই পথেই চলাচল করে। রাতুরিয়া, অঙ্গদপুর, অর্জুনপুর, পুরষা প্রভৃতি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দার যাতায়াতের রাস্তাও সেটি। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তাটির উপযুক্ত সংস্কার না হওয়ায় সেটি বর্তমানে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিপদের ঝুঁকি নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। মাঝেমধ্যেই গাড়ির যন্ত্রাংশ ভেঙে যায়। রাস্তার অনেক জায়গাতেই এখন আর পিচের কোনও অস্তিত্বই নেই।
এই ব্যাপারে এডিডিএ-র সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গিয়েছে, বেহাল ওই রাস্তার আমুল সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপসবাবু জানান, ঠিকঠাক সংস্কার না হওয়ায় দিন কয়েকের মধ্যেই রাস্তা ফের বেহাল হয়ে পড়েছে। এডিডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তার কিছু অংশে মাটির প্রকৃতি নরম। কাজেই সেই জায়গা বসে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। সেসব মাথায় রেখেই এ বার সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাপসবাবু বলেন, “প্রায় ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। শীঘ্র কাজ শুরু হয়ে যাবে।” |
|
|
|
|
|