টুকর খবর
সঙ্কট বাড়ল গাড়ি শিল্পে
লাগাতার পতনের জেরে টাকার দাম তলানিতে ঠেকায় নাভিশ্বাস গাড়ি সংস্থাগুলির। যন্ত্রাংশ আমদানির বাড়তি খরচ সামলাতে প্রয়োজনে দাম বাড়ানোর কথা ভাবছে জেনারেল মোটরস (জিএম) বা টয়োটা কিলোর্স্করের মতো সংস্থা। তবে এখনই আর সেই পথে হাঁটতে নারাজ মারুতি-সুজুকি, হোন্ডা সিয়েল, ফোক্সভাগেন-সহ বেশ কয়েকটি সংস্থা। কারণ, ইতিমধ্যেই চাহিদা কমায় দেশের বাজারে গাড়ি বিক্রি বৃদ্ধির হার গত ১১ বছরে সর্বনিম্ন। এর উপর ফের দাম বাড়ালে গাড়ির বাজার আরও ধাক্কা খাবে বলে তাদের আশঙ্কা। অন্য দিকে, যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়লেও হুন্ডাই মোটর অবশ্য সেই ধাক্কা অনেকটাই সামলে নিয়েছে গাড়ি রফতানির মাধ্যমে। টাকার দাম পড়ে যাওয়ায় রফতানির ক্ষেত্রে বাড়তি লাভ করছে তারা। জিএম কর্তা পি বলেন্দ্রন জানিয়েছেন, জানুয়ারিতে গাড়ির দাম খতিয়ে দেখার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে শীঘ্রই এ নিয়ে আলোচনায় বসবেন তাঁরা। টয়োটা কির্লোস্করের কর্তা সন্দীপ সিংহ জানান, জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দাম যখন বাড়ছে তখন পড়ছে টাকার দাম। ফলে বেড়েছে যন্ত্রাংশ আমদানির খরচ। একই সমস্যায় পড়লেও মারুতি-সুজুকি কর্তা অজয় শেঠ বা ফোক্সভাগেনের কর্তা নীরজ গর্গ জানান, এখন দাম বাড়াচ্ছেন না তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে সহমত সিয়ামের ডিজি বিষ্ণু মাথুরও। তবে হোন্ডা-র কর্তা জ্ঞানেশ্বর সেন জানান, বিদেশি যন্ত্রাংশ সংস্থাগুলির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি থাকায় টাকার দাম পড়ার প্রভাব এখনও পড়েনি তাঁদের সংস্থায়।

থ্রি-জি নিয়ে জট কাটাতে মনমোহনের হস্তক্ষেপ দাবি
থ্রি-জি পরিষেবায় জটিলতা কাটাতে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের হস্তক্ষেপ দাবি করল তিন মোবাইল পরিষেবা সংস্থা। প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে যত দ্রুত সম্ভব একটি টেলিকম অঞ্চল বা সার্কেল-এর মধ্যে রোমিং-সহ থ্রি-জি পরিষেবা নিয়ে সমস্যা মেটাতে যৌথ ভাবে আবেদন করেছেন ভারতী এয়ারটেলের কর্ণধার সুনীল ভারতী মিত্তল, ভোডাফোন গোষ্ঠীর সিইও ভিত্তোরিও কোলাও ও আইডিয়া সেলুলারের কর্তা কুমারমঙ্গলম বিড়লা। সমস্যা না-মিটলে স্পেকট্রাম ফেরত দিয়ে থ্রি-জি পরিষেবা বন্ধের হুমকিও দিয়েছে সংস্থাগুলি। সে ক্ষেত্রে স্পেকট্রাম নিলাম ও তার পরিকাঠামো গড়তে সংস্থাগুলির যা খরচ হয়েছে, তা সুদ সমেত ফেরত দিতে কেন্দ্রকে আর্জি জানিয়েছে তারা। গত বছরের থ্রি-জি স্পেকট্রাম নিলামে কোনও সংস্থাই দেশ জুড়ে একক ভাবে এই পরিষেবা দেওয়ার সুযোগ পায়নি। মোট ২২টি সার্কেলে ভারতী এয়ারটেল এবং অনিল অম্বানীর এডিএজি গোষ্ঠীর রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্স সর্বোচ্চ ১৩টি সার্কেলে পরিষেবা দেওয়ার অনুমতি পায়। যে-সার্কেলে যে-সংস্থা অনুমতি পায়নি, তারা ওই সার্কেলের অনুমতিপ্রাপ্ত সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এখন এই ভাবে চুক্তির মাধ্যমে ভোডাফোন, এয়ারটেল ও আইডিয়া সারা দেশে থ্রি-জি পরিষেবা দেয়। আর টাটা টেলি ও এয়ারসেল ছ’টি সার্কেলে। এই চুক্তি নিয়েই আপত্তি জানায় কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রক (ডট) ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাই। অভিযোগ, নিজেদের মধ্যে এই চুক্তি র ফলে লাইসেন্স নীতির শর্তভঙ্গ করেছে সংস্থাগুলি। ডট বলেছে, এটা কার্যত স্পেকট্রাম ভাগাভাগিরই নামান্তর, যা নীতিতে অনুমোদিত নয়। অন্য দিকে, তিন সংস্থার দাবি, ২০০৮-এর লাইসেন্স নীতি অনুযায়ী স্পেকট্রাম বণ্টন হয়, যাতে এ ধরনের শর্ত ছিল না। সেলুলার অপারেটরদের সংগঠন সিওএআই-ও জানিয়েছে চুক্তিভঙ্গ হয়নি।

নতুন নিয়োগ
সঞ্জয় কৈলাশ ইএসপিএন-স্টার স্পোর্টস গোষ্ঠীর ইএসপিএন সফ্টওয়্যার ইন্ডিয়ার এগ্জিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ভারতে বিপণন প্রধান হয়েছেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.