জাল ছড়িয়েছে প্রতারকদের চক্র |
শিলিগুড়ি শুধু নয়, কম সময়ে প্রায় দ্বিগুণ টাকা পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে লগ্নির ব্যবসা ছড়িয়েছিল কোচবিহারেও। সোমবার কোচবিহারের ঘোকসাডাঙার দুজন বাসিন্দা শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগির অফিসে ওই অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, তুষারকান্তি গুহ, রাজীব ভদ্র এবং মুম্বইয়ের ওই কোম্পানি তাঁদের লগ্নি করানোর নামে প্রতারণা করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারীরা হলেন কোচবিহারের ঘোকসাডাঙ্গার বাসিন্দা সঞ্জীবকুমার সাহা এবং সুকুমার সাহা অভিযোগ করেন। তাঁরা কয়েক দফায় ওই সংস্থায় ৯ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জমা দেন। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এদিনের অভিযোগও খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” তাঁদের আইনজীবী সন্দীপ মন্ডলের দাবি, তুষারবাবু এবং রাজীববাবুর সঙ্গে ঘোকসাডাঙ্গার বাসিন্দা সঞ্জীববাবুর পূর্ব পরিচয় ছিল। সেই সূত্রেই ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁদের কথা মেনেই মুম্বইয়ের ওই কোম্পানিতে ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জমা দেন। পরে আরও কমিশনের আশায় নিজের পরিবারের চার জনের নামে ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ওই সংস্থায় জমা রাখেন। একই ভাবে ওই এলাকার বাসিন্দা সুকুমার দাসও অভিযুক্ত ২ জনের কথা মেনে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ওই সংস্থায় জমা দেন। আইনজীবী বলেন, “পরে সংবাদপত্রে এজেন্ট ও কোম্পানির এক কর্ণধার গ্রেফতার হওয়ার খবর পেয়ে আমার মক্কেলরা প্রতারণার ঘটনা টের পান। তার পরেই তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেছেন।” অন্য দিকে, শিলিগুড়ির প্রতারণা মামলায় স্থানীয় বাসিন্দা আরও ২ জনকে খুঁজছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ১ জন অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধেও বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছে।
|
স্নান করানোর সময় হুটোপুটি করতে থাকায় প্রথমে ধমক দেন। তাতেও ২ বছরের শিশু পুত্র দমছে না দেখে পিঠে চড় মেরেছিলেন মা। তাতেই বিপত্তি ঘটে। আচমকা দম বন্ধ হয়ে যায় শিশুটির। প্রতিবেশী এক যুবকের সাহায্যে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। সোমবার শিলিগুড়ির সুকান্তনগরের কুণ্ডুপুকুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ এবং হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির নাম আয়ুষ মণ্ডল। বাবা দিলীপবাবু সাইনবোর্ড, হোর্ডিং রং করার কাজ করেন। ওই ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকেরা। ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েন শিশুটির মা। তাঁকে শিলিগুড়িতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের পর এ দিন সৎকার করা হয়েছে। খবর পেয়ে শিশুটির বাড়িতে যান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুলাল দত্ত। তিনি বলেন, “ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক।”
|
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমুলে যোগ দিলেন রাজ্য বার কাউন্সিলের সদস্য আইনজীবী গৌতম দাস। জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেসের সহ সভাপতি এবং প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির সদস্য ছিলেন গৌতমবাবু। সোমবার রাজ্য তৃণমুল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রয় মল্লিক এবং তৃণমুলের আইনজীবী সেলের সাধারন সম্পাদক আনসার মন্ডলের তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে গৌতমবাবুর তৃণমূলে যোগদানের কথা জানানো হয়েছে। গৌতমবাবু বলেন, “প্রদেশ কংগ্রেস যে ভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সমালোচনা করে সিপিএমের সুবিধে করতে চাইছে, তা মানা যায় না। ৩৪ বছর পরে বাংলার মানুষ সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে যে জনাদেশ দিয়েছে, তাকে অপমান করতে চায় কংগ্রেস। সিপিএম বিরোধীদের কংগ্রেসে থাকা সম্ভব নয়।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায় সহ রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায় সহ রাজ্যের তৃণমুল মন্ত্রীদের সঙ্গেও গৌতম বাবুর কথা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও দার্জিলিং জেলার জন্য গৌতমবাবুকে রাজ্য খাদ্য সরবরাহ দফতরের আইনি পরামর্শদাতা হিসেবেও হিসেবেও নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
|
তাদের জমি চিহ্নিত করতে রাজ্য সরকারের কাছে ল্যান্ড কমিশন গঠন করার জন্য আবেদন রাখল টোটোরা। সোমবার দুপুরে টোটো কল্যাণ সমিতির পক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করে নতুন সরকারের কাছে এই দাবি জানানো হয়। সমিতির পক্ষে জানানো হয়, ১৯৬৮ সালে ৮২টি টোটো পরিবারকে দুই হাজার একরের মধ্যে ৩৩৩ একর জমি দেয় তৎকালীন রাজ্য সরকার। টোটো হেপাজতে থাকা বাকি জমি সরকার খাস করে। টোটোদের যে পরিমাণ জমি কাগজ পত্রে দেওয়া হয়েছে তা কোথায় রয়েছে এবং বাকি খাস জমি আদতে কোথায় রয়েছে তা চিহ্নিত করতে আবেদন করেন টোটোরা। আদিম জনজাতি গোষ্ঠী হয়েও তারা কোন সুবিধা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। |