নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান রহস্যের তদন্তের জন্য এ বার আন্তর্জাতিক স্তরের কমিশন গড়ার দাবি তুলল ফরওয়ার্ড ব্লক। দীর্ঘ ৬৯ বছর পরে সোমবার নেতাজি-প্রশ্নেই আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিয়ে ফ ব-র প্রবীণ সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ এই দাবি তুলেছেন। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ফ ব নেতৃত্ব।
লোকসভার সচিবালয় থেকে প্রকাশিত একটি পুস্তিকায় ১৮ অগস্ট, ১৯৪৫ তারিখটিকে নেতাজির মৃত্যুদিন হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই তথ্য বাতিল, মনোজ মুখোপাধ্যায় কমিশনের রিপোর্ট গ্রহণ এবং ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনকে ‘দেশপ্রেম দিবস’ হিসাবে ঘোষণা এই তিন দাবিকে সামনে রেখেই দেশ জুড়ে আইন অমান্যের কর্মসূচি নিয়েছিল ফব। কলকাতা-সহ পাঁচটি জেলার কেন্দ্রীয় জমায়েত এবং আইন অমান্য ছিল এ দিন রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। ওই জমায়েতেই অশোকবাবু বলেন, “১৯৪২ সালে ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের জন্য ‘জেল ভরো’য় অংশ নিয়েছিলাম। তার পরে আজ আবার তাজা মন নিয়ে আইন অমান্য করতে এসেছি। এখন আর ব্রিটিশ নেই। কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতক রাজনৈতিক নেতাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার সময় এসেছে!” |
সাত দশক পরে আইন অমান্য করে গ্রেফতার। পুলিশের গাড়িতে
উঠছেন ফব-র সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র |
নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে কংগ্রেস কখনওই আগ্রহ দেখায়নি বলে ফ ব-র অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। সেই সূত্রেই আন্তর্জাতিক স্তরের কমিশন গড়ে গোটা ঘটনা দেশবাসীকে জানানোর দাবি তুলেছে তারা। অশোকবাবুর বক্তব্য, “কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকারের দিকে আঙুল তুলে বলছি, নেতাজির প্রতি যে বেইমানি, অবমাননা আপনারা করেছেন, ইতিহাস তার জবাব দেবে! মানুষও জবাব দেবেন!” ফ ব-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জয়ন্ত রায় বলেন, “কংগ্রেসের বাঁকা আঙুল কী ভাবে সোজা করতে হয়, সেই কৌশল আমরা জানি!”
অশীতিপর অশোকবাবু মঞ্চের নীচেই পুলিশের গাড়িতে উঠে গ্রেফতার ‘বরণ’ করেন। দলের সব সাংসদ, বিধায়ক, প্রাক্তন মন্ত্রী এবং প্রায় গোটা রাজ্য নেতৃত্বই এ দিন আইন অমান্যে যোগ দেন। দলীয় নেতৃত্বের হিসাবে, প্রায় ৮ হাজার মানুষ আইন অমান্যে অংশ নিয়েছেন। কর্মসূচির ‘সাফল্যে’ তাঁরা ‘স্বস্তি’ও পেয়েছেন।
|
মন্ত্রীদের ভাতা বৃদ্ধির বিরোধিতায় এসইউসি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মন্ত্রীদের ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সোমবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন এসইউসি বিধায়ক তরুণ নস্কর। চিঠিতে তরুণবাবু লিখেছেন, পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের ভ্রান্ত নীতির জন্য বর্তমানে রাজ্য আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে এবং কেন্দ্রও তাদের আর্থিক সাহায্য করছে না। তা ছাড়া এই সময়ে রাজ্যবাসী বিপুল মূল্যবৃদ্ধির শিকার। সরকার তাদের কোনও স্বস্তি দিতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রীদের ভাতা বাড়ানো সুশাসনের পরিচয় নয়। এই প্রেক্ষিতে বিধানসভার আসন্ন অধিবেশনে ওই বিষয়ে আলোচনার আর্জিও স্পিকারকে জানিয়েছেন তরুণবাবু। প্রসঙ্গত, বিধানসভার গত অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র যখন মন্ত্রীদের ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন, তখনই স্পিকারের কাছে নিজের আপত্তি জানিয়েছিলেন তরুণবাবু। তাঁর আরও বক্তব্য ছিল, ওই বিষয়ে বিধানসভায় আলোচনার সুযোগ না দিয়ে সরকার এক তরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা অনুচিত। তরুণবাবু স্পিকারকে চিঠিতে লিখেছেন, তাঁর ওই সমস্ত কথায় কর্ণপাত না করে সরকার রাজ্যের মন্ত্রীদের ভাতা বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। |