আলিপুর সেন্ট্রাল এবং প্রেসিডেন্সি জেলের বিচারাধীন বন্দিদের অনশন ধর্মঘট সোমবার তুলে নেওয়া হয়েছে। ‘হয় মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করো, নইলে জামিন দাও’ এই দাবিতে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের বিচারাধীন বন্দিরা ১২ দিন ধরে অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। রাজ্যের আইন ও বিচার মন্ত্রী মলয় ঘটক, আইজি (কারা)-র বারবার অনুরোধেও বন্দিরা অনশন তুলতে রাজি হননি। দিন দুয়েক পরে প্রেসিডেন্সি ও দমদম সেন্ট্রাল জেলের বিচারাধীন বন্দিরাও একই দাবিতে অনশনে বসেন। বিচারাধীন বন্দিদের অনশন ছড়িয়ে পড়ে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল এবং পুরুলিয়া জেলেও। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে রাজ্য সরকার যে কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে, এ দিন ফের আলিপুর জেলে গিয়ে বন্দিদের তা বুঝিয়ে বলেন আইন ও বিচার মন্ত্রী। আইজি (কারা) রণবীর কুমার সন্ধ্যায় বলেন, “বারবার বোঝানোর ফলে কাজ হয়েছে।” তিনি জানান, দমদম, মেদিনীপুর ও পুরুলিয়া জেলের বন্দিরা দিন দুই আগেই অনশন তুলে নিয়েছিলেন। এ দিন আলিপুর ও প্রেসিডেন্সি জেলের বন্দিরাও অনশন তুলে নিয়েছেন।
|
বাইপাসের এক শপিং মলে সোমবার দুপুরে বোমাতঙ্ক ছড়াল। থানা, লালবাজারের বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড ও স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ-এর কর্মীরা সেখানে যান। কিন্তু বোমা মেলেনি। পুলিশ জানায়, মল কর্তৃপক্ষের কাছে দুপুরে আসা একটি ফোনে এক ব্যক্তি বলেন, পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে বিস্ফোরণ হবে। সতর্ক করে দেওয়া হয় দোকানগুলিকে। তল্লাশি শুরু হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফুলবাগান থানার পুলিশ। যায় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড এবং স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ। ‘স্নিফার’ কুকুর নিয়ে তল্লাশি চালিয়েও সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। কোথা থেকে ফোনটি এসেছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ দিন রাতে সখের বাজার বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি পরিত্যক্ত স্যুটকেসকে ঘিরে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। কিন্তু বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড এসে কিছুই পায়নি।
|
কসবার গৃহবধূ জয়া চক্রবর্তীর আল্ট্রাসোনোগ্রাফি পরীক্ষার রিপোর্টে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে সোমবার এম আর বাঙুর হাসপাতাল সূত্রে খবর। শুক্রবার রাতে জয়াদেবী ও তাঁর দুই ননদ শেফালি প্রসাদ ও শিপ্রা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে সুশীল বাগ ও শীতল কর্মকার নামে দুই ব্যক্তি গ্রেফতার হন। জয়াদেবীর পরিবারের তরফে দাবি করা হয় তিনি অন্তঃসত্ত্বা। রবিবার জয়াদেবীর মূত্র-পরীক্ষার রিপোর্টে তার প্রমাণ না মেলায় আল্ট্রাসোনোগ্রাফির সিদ্ধান্ত হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। সুপার কাজলকৃষ্ণ বণিক সোমবার বলেন, “জয়াদেবীর আল্ট্রাসোনোগ্রাফি হয়েছে। কিন্তু সেই রিপোর্টে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রমাণ মেলেনি।”
|
এক পরিচারিকার ঝুলন্ত দেহ মিলল। রবিবার, শ্যামপুকুর থানার হরচন্দ্র মল্লিক স্ট্রিটের একটি বাড়িতে। মৃতার নাম শর্মিলা বারুই (১৯)। পুলিশ জানায়, গৃহকর্তা মলয় বিশ্বাস, তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ের সঙ্গে দেড় বছর ধরে ছিলেন শর্মিলা। পুলিশের দাবি, মলয়বাবু জানান, রবিবার তাঁরা সপরিবার অন্যত্র যান। শর্মিলাকে যেতে বলা হলেও তিনি যাননি। রাতে তাঁরা ফিরে দেখেন, সদর দরজা বন্ধ। একতলার কারখানার দুই শ্রমিকের সাহায্যে দরজা খুলে শর্মিলার ঝুলন্ত দেহ দেখেন তাঁরা। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা।
|
ট্রেলারের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির (৫০)। সোমবার, দক্ষিণ বন্দর থানার সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড এবং কোল বার্থ রোডের মোড়ে। পুলিশ জানায়, এর জেরে কিছুক্ষণ যানজট হয়। |