নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিরল এক পরিস্থিতিতে আজ সন্ধেয় মুখোমুখি মোহনবাগান -ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা এই ম্যাচে আগে যা কোনও দিন দেখেনি, তা দেখতে চলেছে এ বার। দীর্ঘ দিনের প্রথা ভেঙে আই এফ এ একেবারে অস্তিত্বহীন হয়ে যাচ্ছে এই ম্যাচে। এই প্রথম।
রেফারিদের মাঠের ভিতরে আনছেন মোহনবাগান প্রতিনিধিরা। মাঠের মধ্যে পুলিশ খেলা না দেখে তাকিয়ে রয়েছে গ্যালারির দিকে। স্টেডিয়ামের বাইরে টিকিটের গেট খুঁজতে বিভ্রান্ত দর্শকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন না। থাকছে চার প্রান্তে চারটি সাইনবোর্ড। গ্যালারিতে প্রত্যেক গেটে থাকছে সিসিটিভি। ভি আই পি ব্লকের মাঝখানে বাঁশের ব্যারিকেডে বসে থাকছে পুলিশ। সব মিলিয়ে একেবারে নতুন হাওয়া।
এই প্রেক্ষাপটে একেবারে হাওয়া হয়ে গিয়েছে আই এফ এ। রাজ্য সংস্থার কর্মকর্তারা এত দিন মাঠের ভিতরে ঘোরাঘুরি করতেন। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তাঁরাই। এই ম্যাচে সব শেষ। আই এফ এ বড় কর্তারা দীর্ঘ দিন স্টেডিয়ামের বাইরে ভি আই পি বক্সের টিকিট ব্ল্যাক করা চোখের সামনে দেখেছেন। দেখেছেন পুলিশ ঢুকিয়ে দিচ্ছে লোক। তার পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারেননি। হোম ম্যাচের প্রেক্ষাপটে বিপন্ন আই এফ এর কয়েক জন কর্তা সাধারণ মানুষের মতোই ম্যাচ দেখতে যাবেন শুধু। সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতার বাইরে চলে যাচ্ছেন। কার্যকরী সচিব প্রদীপ বসু কলকাতায় থেকেও যাচ্ছেন না। “আমার মনে হয়েছে, কোথাও অসম্মানের ব্যাপার রয়েছে। তিরিশ বছর আই এফ এ -তে আছি। এ জিনিস দেখিনি। আমন্ত্রণই আসেনি আমাদের।” গভর্নিং বডির সদস্যদের টিকিট পাঠিয়েছিল মোহনবাগান। অনেক সদস্য তা তোলেননি। তিক্ততা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যাঁরা টিকিট নিলেন না তাঁদের তালিকা বানিয়ে আজ মোহনবাগানকে সব টিকিট ফেরত পাঠাচ্ছে আইএফএ। গত দু’দিনে টিকিট বিক্রি নিয়ে দুই ক্লাবের কর্তাদের তিক্ততা চরমে পৌঁছেছিল। এ দিন সব শান্ত। কেউ কারও দিকে কামান দাগেননি। এটা ঝড়ের পূর্বাভাস কি না, ম্যাচের শেষেই বোঝা যাবে। |