|
|
|
|
|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
১৩ নভেম্বর - ১৯ নভেম্বর |
|
বালি লন্ডন বালি/ইয়াঙ্গন তেহরান জেড্ডা |
|
• পূর্বাচলের পানে প্রেসিডেন্ট ওবামা। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি নিয়ে গঠিত ‘আসিয়ান’ গোষ্ঠীর বৈঠকে এই প্রথম অংশগ্রহণ করতে এল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়ায়। কারণটা অবশ্যই চিন। বিশেষ উদ্যম নিয়ে সব কয়টি অংশগ্রহণকারী দেশের সঙ্গে কথা বললেন ওবামা। তবে প্রচ্ছন্ন হলেও বৈঠকের মধ্যমণি ওয়েন জিয়াবাও। চিনের প্রধানমন্ত্রী। (ছবিতে তিনি, ওবামার সঙ্গে) ওবামা যতই অংশ নিন, জিয়াবাও-এর সোজা কথা, দক্ষিণ চিন সমুদ্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে বহিঃশক্তিগুলির কথা বলারই অধিকার নেই।
• মায়ানমারের সঙ্গে ওয়াশিংটন সম্পর্ক তৈরি করবে: ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ওবামার। হিলারি ক্লিন্টনকে ইয়াঙ্গন পাঠাবেন তিনি: ৫০ বছরে প্রথম মার্কিন সফর। প্রসঙ্গত, বিরোধী নেত্রী সু চি-র পার্টি ন্যাশনাল লিবারেশন ফর ডেমোক্র্যাসি (NLD) এ বার নির্বাচনে লড়বে। এত দিনে সামরিক শাসনের অবসান? গণতন্ত্রের ইঙ্গিত?
• যত গর্জন, বর্ষণও কি ততটাই? প্রেসিডেন্ট আহমদিনেজাদ ও ধর্মনেতা খামেনেই বলে দিয়েছেন, দরকারে যুদ্ধেও তাঁরা পিছপা নন। ইরানে পরমাণু কার্যক্রম কত দূর এগিয়েছে খতিয়ে দেখতে সে দেশে গেল আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) বিশেষজ্ঞ দল।
• ব্যক্তিগত জীবনে বিন লাদেন নাকি সংবেদনশীল, ভদ্র। বললেন আল কায়দার বর্তমান শীর্ষনেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি। আধ ঘন্টার একটি ভিডিয়ো সাক্ষাৎকারে।
|
‘আজ আমি জয়ী।’ সলমন রুশদি উবাচ। না কি, আহমদ রুশদি? ফেসবুক তাঁকে তাঁর আদি নামেই স্বীকৃতি দিতে চেয়েছিল, সলমন নামে নয়। ক্ষুব্ধ লেখক টুইটারে প্রবল প্রতিবাদ করেন। শেষ পর্যন্ত ফেসবুক নতিস্বীকার করেছে। রুশদিও পরম উল্লাসে লিখেছেন, ‘ফেসবুক নতজানু। আমি আবার সলমন রুশদি।’ কোথায় লিখেছেন? টুইটারে, আলবাত। |
|
লন্ডন |
একটি ছবিতে পোপ দ্বিতীয় বেনেডিক্ট আর মিশরের ইমাম পরস্পরকে চুমু খাচ্ছেন। অন্য একটি ছবিতে চুমু খাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা আর চিনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও। দুই ছবিরই উপরে একটাই স্লোগান ‘আন-হেট’! নামী ইতালিয়ান পোশাক কোম্পানির বিজ্ঞাপন। খুবই সাহসী, বলাই বাহুল্য। এবং এও বলা বাহুল্য যে ভ্যাটিকান অত্যন্ত ক্রুদ্ধ ব্যাপারটাতে। তীব্র প্রতিবাদ ভ্যাটিকানে, আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে। ব্যবসায়িক স্বার্থে কত রুচিহীন এবং শ্রদ্ধাহীন
হয়ে যাওয়া যায়, তারই উদাহরণ এই বিজ্ঞাপন, বলছে ভ্যাটিকান। |
রোম |
রাজনীতিকরা দেশকে ডুবিয়েছেন। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সিলভিয়ো বের্লুস্কোনি পদত্যাগ করার পরে ইতালিতে যে ‘সর্বদলীয়’ নতুন সরকার তৈরি হয়েছে, তার কোনও মন্ত্রীই রাজনীতিক নন। নতুন টেকনোক্র্যাট প্রধানমন্ত্রী মন্তি (ছবি) বিপর্যস্ত অর্থনীতিতে স্থিতি ফেরানোর পরিকল্পনা পেশ করেছেন। বাজেট ঘাটতি কমানো চাই। তাই রাজস্ব বাড়াতে হবে, খরচ কমাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে চাঁচাছোলা ভাষায় বলেছিলেন, এই পরিকল্পনা অনুমোদিত না হলে মানুষ আরও তীব্র সঙ্কটে পড়বেন, রাজনীতিকদের ওপর আস্থা হারাবেন, সেই সাংঘাতিক পরিণামের কথা মনে রেখে যেন জনপ্রতিনিধিরা ভোট দেন। হাতে হাতে ফল পাওয়া গেছে পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাশ হয়ে গেছে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব। |
নিউ ইয়র্ক |
|
রি-অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট? জুকোটি পার্ক থেকে আন্দোলনকারীদের হটানোর জন্য মামলা ঠোকা হয়েছিল। সেই মামলায় আন্দোলনকারীরাই জিতলেন, বিজয়গর্বে তাঁরা আবার ঢুকলেন জুকোটি পার্ক-চত্বরে। আন্দোলনের তীব্রতা আবার বাড়ল। ছড়িয়ে পড়ল খাস ওয়াল স্ট্রিটেও। নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ-এর সামনে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে গেল। গ্রেফতার হলেন অনেকেই। কেউ কেউ পথনাটিকা করছিলেন, রাস্তার ওপরেই, নাটকীয়তা বাড়ানোর জন্য তাঁদের অনেকে নগ্ন ভাবেও অবতীর্ণ হলেন। গ্রেফতার তাঁরাও। এঁদের বক্তব্য, তাঁদের আন্দোলন অনেক বড়, কর্পোরেট দুনিয়ার অনাচার এবং পুলিশের অত্যাচার তাঁরা রোধ করবেনই। |
ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক |
ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক থেকে প্যালেস্তিনীয় মানুষ বিনা অনুমতিতে ইজরায়েলি এলাকায় যেতে পারেন না। এ দিকে সেখানে যে ইজরায়েলি ‘সেটলমেন্ট’ বা বসতি তৈরি হয়েছে, তার অধিবাসীরা অবাধে ‘স্বদেশ’-এ যেতে পারেন, তাঁদের জন্য বাস আছে। সম্প্রতি ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের এক বাসস্টপ থেকে ছ’জন প্যালেস্তিনীয় একটি বাসে উঠে পড়েন। ভুল নয়, প্রতিবাদ। ঠিক যে ভাবে ষাটের দশকে আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ বাসযাত্রীরা (ফ্রিডম রাইডার্স) বর্ণবৈষম্য অমান্য করে আন্দোলন শুরু করেন, তেমনই। |
শেষ পাত |
ল্যারির কি চাকরি যাবে? গত ফেব্রুয়ারি মাসে টেলিভিশন ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল এক ভয়ানক দৃশ্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি দশ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বিখ্যাত কালো দরজার বাইরে একটি ইঁদুর দৌড়োদৌড়ি করছে। অতএব বহাল হয় মার্জারনন্দন, ল্যারি। ক’দিন আগে মন্ত্রিসভার কয়েক জন সহকর্মীকে নিয়ে ডিনারে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। হঠাৎ সামনে দিয়ে ইঁদুর-দৌড়। নিমেষে রুপোর কাঁটাচামচ তুলে নিয়ে নিক্ষেপ করেন ক্যামেরন নিজেই এবং, অবশ্যই, লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। প্রশ্ন উঠেছে, ‘ফার্স্ট ক্যাট’ ল্যারি তা হলে কী করছে? এ বার ব্যর্থ হলেও সে নাকি ইতিমধ্যে তিন-তিনটি ইঁদুর ধরেছে। সুতরাং, চাকরি থাকল। আপাতত। |
|
|
|
|
|