মণিপুরের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কোনও প্রাক্-নির্বাচনী আঁতাতে যাচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। আজ মণিপুরে এসে এই কথা জানান তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায়। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মণিপুরের বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থী দেবে। মুকুলবাবু বলেন, “কেবল লড়ার জন্য নাম দেওয়া নয়, আমরা সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাব। যদি সরকার গড়তে নাও পারি, সরকারের শক্তিশালী শরিক হতে চাই। অবশ্য আগে থেকে কারোর সঙ্গে জোট আমরা বাঁধছি না।”
মুকুলবাবুর সঙ্গেই মণিপুরে আসেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা মণিপুর নির্বাচনের ভারপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা, কে ডি সিংহ। গুয়াহাটি থেকে হেলিকপ্টারে পশ্চিম ইম্ফলের ইয়ুমনাম লেইকাইতে আসেন দুই নেতা। সেখানে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে তাঁরা একটি জনসভায় যোগ দেন। আপাতত কোন্থৌজাম বিধানসভা উপ-নির্বাচনে জিতে একজন বিধায়ক নিয়ে মণিপুর রাজনীতিতে পা রেখেছে তৃণমূল। অসম নির্বাচনে ১০১টি আসনে লড়েও একটির বেশি প্রার্থীকে জেতাতে পারেননি কে ডি সিংহরা। নির্বাচনের পরে আর্থিক নয়ছয় ও আরও নানা বিতর্কের জেরে ভেঙেই যায় প্রদেশ তৃণমূল।
অসমের রাজ্য নেতারা বারবারই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈমাত্রেয় সুলভ মনোভাব নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। অরুণাচল নির্বাচনে ৫ টি আসন পেলেও, সেখানে প্রার্থীরা কার্যত নিজেদের জোরেই জিতেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে কোনও সাহায্য মেলেনি। মুুকুলবাবু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সুশাসনকে হাতিয়ার করে যে ভাবে আমরা উন্নয়নের পথে এগোচ্ছি, সেভাবেই মণিপুরকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে। গত দু’বছরে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতায় মানুষের দুরবস্থা চরমে পৌঁছেছে। মণিপুরের অর্থনৈতিক অবরোধ নিয়ে আমরা সংসদেও সরব হব।” নাগা প্রশাসনিক প্যাকেজের প্রসঙ্গ টেনে মুকুলবাবু ভরসা দেন, “মণিপুরে সব সম্প্রদায়ের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান থাকবে। রাজ্যের সীমানাও অখণ্ড রাখা হবে।” |