এক দশকেরও পুরনো দুর্নীতির মামলায় শাস্তি ঘোষণার পরে আদালত চত্বরেই আক্রান্ত হলেন প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী সুখরাম। তাঁকে চড়, লাথি মারে এক যুবক। মামলায় সুখরামকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে সিবিআই আদালত। চার লক্ষ টাকা জরিমানাও দিতে হবে তাঁকে। তিহাড় জেলে আর এক প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজার পাশেই থাকবেন সুখরাম।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাওয়ের মন্ত্রিসভায় টেলিকম মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন সুখরাম। সেই সময়ে তার সরবরাহ নিয়ে হরিয়ানা টেলিকম লিমিটেড নামে একটি সংস্থাকে তিনি অন্যায় ভাবে সাহায্য করেছিলেন। বিনিময়ে ওই সংস্থার কাছ থেকে তিনি ৩ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। নিজের বয়সের কথা উল্লেখ করে আদালতের কাছে কিছুটা রেহাই চেয়েছিলেন ৮৬ বছর বয়সী সুখরাম। কিন্তু, সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন,“ সুখরাম এক জন দাগি অপরাধী। তাঁকে কোনও ভাবেই রেহাই দেওয়া উচিত নয়।”
সুখরাম |
এই ধরনের মামলায় শাস্তি ঘোষণার পরেই আসামিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। সুখরামকে জেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদালত থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। তখন রোহিণী আদালত চত্বরের মধ্যেই তাঁর উপরে হামলা চালায় হরবিন্দর সিংহ নামে এক ব্যক্তি। সুখরামকে লাথি, চড় মারে সে। তার পরে হামলাকারীর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গীরা। তাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আজ সিবিআই আদালতের রায়ের পরে সুখরামকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তিহাড় জেলে। জেলের যে অংশে তাঁকে রাখা হয়েছে সেখানেই আছেন অপর এক প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজা। টু-জি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হয়ে আপাতত রাজার ঠিকানা হয়েছে তিহাড়। জেলের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল আর এন শর্মা জানিয়েছেন, সুখরামের সুবিধার জন্য কোনও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়নি।
আগেও একাধিক দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সুখরাম।
২০০৯ সালে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি রাখার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। ২০০২ সালেও অন্য একটি দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল তাঁর। |