ক্ষুদ্র চা চাষিদের উন্নয়নে টি বোর্ড (চা পর্ষদ)-এর অধীনে পৃথক শাখা খুলবে আগামী অর্থবর্ষের গোড়াতেই।
এ প্রসঙ্গে শনিবার কলকাতায় কেন্দ্রীয় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানান, দ্বাদশ যোজনার শুরুতেই কাজ শুরু করবে ওই শাখা। গুয়াহাটিতে তার সদর দফতর হবে বলেও তাঁর ইঙ্গিত। তবে পর্ষদ সূত্রে খবর, গুয়াহাটি ছাড়াও এক জন করে যুগ্ম অধিকর্তা বসবেন জলপাইগুড়ি, কলকাতা ও কর্নাটকের কুন্নুরে। শাখাটির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রক যে ৯৫টি পদের অনুমোদন দিয়েছে, তার মধ্যে ১৩টি প্রশাসনিক। বাকিগুলি প্রযুক্তিবিদদের জন্য। ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই পদগুলি পূরণের চেষ্টা চলছে।
২৪ একর বা তার কম জমিতে যাঁরা চা চাষ করেন, তাঁদেরই ক্ষুদ্র চা চাষি হিসেবে চিহ্নিত করে পর্ষদ। পশ্চিমবঙ্গ-সহ সারা ভারতে এঁদের সংখ্যা ১.৬ লক্ষেরও বেশি। কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন্স (সিআইএসটিএ)-এর হিসাব অনুযায়ী, এঁদের ৭০ শতাংশেরই জমির পরিমাণ এক একরের আশেপাশে।
সিআইএসটিএ-র অভিযোগ ছিল, বড় বাগানগুলির জন্য নানা প্রকল্প থাকলেও, সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে ছোট চাষিরা বঞ্চিত। সেই কারণেই ক্ষুদ্র চা শিল্পের জন্য পৃথক শাখার দাবি তুলেছিল তারা। সেই দাবি মেনে চলতি বছরের মাঝামাঝি চা পর্ষদের ডিরেক্টরেট অফ টি ডেভেলপমেন্ট-এর অধীনে শাখা খোলায় সবুজ সঙ্কেত দেয় কেন্দ্র।
এ দিন সিআইএসটিএ-র প্রেসিডেন্ট বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “শ্রীলঙ্কা ও কেনিয়ায় ক্ষুদ্র চা চাষিদের জন্য এ ধরনের পৃথক শাখা রয়েছে। এ বার দেশের ক্ষুদ্র চাষিরাও উপকৃত হবেন।” |